পুবের কলম প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্বাচন-কমিশনের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাদা ছোড়াছুড়ি লেগেই রয়েছে। রাজ্যের স্পর্শকাতর বুথ নিয়ে বিএসএফ কর্তার সাফাই, ‘ ভোটে স্পর্শকাতর বুথের তালিকাই পাওয়া যায়নি’। রবিবার বিএসএফের তরফে দাবি করা হল তাঁরা স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর বুথের তালিকাই পাননি। যা হাতে পেলে বাহিনী মোতায়েনের কাজ অনেকটা সহজ হতো। যদিও এই দাবির পালটাও দিয়েছে কমিশন। ফলে নির্বাচনের পরও কমিশনের সঙ্গে কার্যত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চাপানউতোর জারি রইল।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিশেষ দেখা যায়নি সেই বুথগুলিতেও অশান্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। । এই বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল নোডাল অফিসার তথা বিএসএফ ডিজির সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে।
লে, অরুণাচলের মতো জায়গা থেকে জওয়ানদের তড়িঘড়ি উড়িয়ে আনার পরও সঠিক বুথে মোতায়েন করা সম্ভব হয়নি। আর হিংসা, হানাহানি চলেছে দিনভর। এসবের পর বিএসএফ, ডিআইজি (ইস্টার্ন কমান্ড) এসএস গুলেরিয়ার দাবি, তারা স্পর্শকাতর বুথের তালিকা পাওয়া যায়নি বলে ঠিকমতো জওয়ান মোতায়েন করা যায়নি। যেসব বুথে বিএসএফ, সিএপিএফ ছিল, সেখানে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএসএফ কর্তা।
এ বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের যুক্তি, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলা হয়েছিল, রাজ্যে পা রাখার পর জেলার নোডাল অফিসারদের যোগাযোগ করে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা নিয়ে নিতে। ভোটের আগে শুক্রবার রাত পর্যন্তও বিভিন্ন জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঠিকমতো পৌঁছতে পারেননি। তার অন্যতম কারণ, কমিশনের দাবিমতো পর্যাপ্ত বাহিনী শেষ মুহূর্তে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
কিন্তু সময়াভাবে তাঁরা করতে পারেননি। কারণ, কমিশনের চাওয়ামতো ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে অনেক দেরিতে। এতে আমাদের কোনও দায় নেই বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।