পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হিমাচলের মান্ডি আসনটি কংগ্রেসের হাতে থাকবে কিনা সেই নিয়ে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ আসনটি বিদায়ী লোকসভায় প্রতিভা সিংয়ের। কিন্তু তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে মান্ডি থেকে বিজেপির টিকিটে লড়াই করবেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। বিজেপি চারটি আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে মান্ডি থেকে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত এবং কাংড়া থেকে দলের রাজ্য সহ-সভাপতি রাজীব ভরদ্বাজ রয়েছে। সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর এবং সুরেশ কাশ্যপ যথাক্রমে হামিরপুর ও সিমলা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সম্প্রতি হিমাচলের কংগ্রেসের রাজ্য দলের প্রধান প্রতিভা সিং বলেন, তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিন্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ পরিস্থিতি অনুকূল নয়। রাজ্যে ব্যাপকভাবে সফর করাকালীন তিনি দেখেছেন, কোনও কর্মী সক্রিয় ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে, সাফল্য অর্জন করা কঠিন।
প্রতিভা জানিয়েছেন, আমরা খুশি যে সেও (কঙ্গনা) সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু তিনি একজন সেলিব্রেটি। হঠাৎ করে রাজনীতিতে এসে তিনি কী ভূমিকা পালন করেন, সেটাই দেখতে হবে’।
লোকসভা নির্বাচনে তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে প্রতিভা সিং বলেন, আমি ইতিমধ্যে হাইকমান্ডের কাছে ইচ্ছার কথা জানিয়েছি। হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্তই নেবে, আমি তা মেনে চলব। যখনই হাইকমান্ড আমাকে যা নির্দেশ দিয়েছে, পালন করেছি’। প্রতিভা বলেন, আমাদের সকলের শ্রমই এই নির্বাচনকে সফলতা এনে দেবে। আমি চাই মানুষ আমাদের কাজ মনে রাখুক, কংগ্রেসকে সমর্থন করুক, বিজয়ী করুক। আমাদের সরকারের কাজগুলো নিয়ে জনগণের মাঝে যাব। এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। এমন নয় যে কঙ্গনা রানাউত চলচ্চিত্রে ভালো কাজ করেননি, তবে এটি একটি রাজনৈতিক অঙ্গন’।
প্রতিভা সিংয়ের ছেলে, রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং আত্মবিশ্বাসী যে কংগ্রেস মান্ডি আসনটি ধরে রাখতে পারে।
বিক্রমাদিত্য কঙ্গনার উদ্দেশে বলেন, একজন অভিনেত্রী হিসেবে তিনি হিমাচল প্রদেশের এক তৃতীয়াংশ অংশকেও কতটা সময় দিতে পারবেন সেটাই এখন দেখা বিষয়।
উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশে চারটি লোকসভা আসন রয়েছে হামিরপুর, মান্ডি, সিমলা এবং কাংড়া। ২০২৯ সালে বিজেপি ৪টি আসন জিতেছিল৷ হিমাচল প্রদেশের চারটি লোকসভা আসনের নির্বাচন এবং ছয়টি বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কের অযোগ্যতার কারণে শূন্য হওয়া ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ১ জুন অনুষ্ঠিত হবে৷