পুবের কলম প্রতিবেদকঃ মুর্শিদাবাদের এক হজযাত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের ৩০ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছিল নিউ টাউনের মদিনাতুল হুজ্জাজের বাইরের তাঁবুতে। গত শনিবার দুপুরে তাঁবুর মধ্যে থাকা গোসলূানা থেকে কেউ এই টাকাগুলি নিয়ে পালিয়ে যায়। এর পরই সমস্যায় পড়েন ওই হজযাত্রী। রাজ্য হজ কমিটিকে জানালে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে কর্তৃপক্ষ। রবিবার ওই হজযাত্রীর উড়ান ছিল রাত ৯.১০ মিনিটে। সেই সময়ের মধ্যে ওই হজযাত্রীর টাকা ফেরাতে না পারলেও সোমবার তাঁর টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান সাংসদ নাদিমুল হক।
রবিবার রাতেই তিনি সাংবাদিক আবদুল ওদুদকে বলেন– রাজ্য হজ কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মাওলানা আবুল কালাম আজাদের চুরি যাওয়া ৩০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য হজ কমিটি। আপাতত সাংসদ নাদিমুল হক সেই টাকা দিচ্ছেন। সোমবার এই অর্থ দেন। এক প্রতিক্রিয়ায় নাদিমুল হক জানান– খুব দুর্ভাগ্যের বিষয় যে কিছু অসৎ লোক এই কাজ কর্ম করেছে। একজন হজযাত্রীর সঙ্গে এই ধরনের প্রতারণা করা একদম ঠিক হয়নি। তাই ওই হজযাত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য হজ কমিটি। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ মিনায় কুরবানি দেওয়ার জন্য এই অর্থ সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দুষ্কৃতীদের কবলে পড়বেন কখনও ভাবতে পারেননি। তাই ওই হজযাত্রীর যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই জন্য অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য হজ কমিটি।
নাদিমুল হক আরও বলেন– বর্তমানে মদিনাতুল হুজ্জাজের বাইরে পরিষেবা ঠিক রাখতে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাইরের কোনও লোককেও অযথা ঘোরাফেরা করতে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও জোরদার নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিধাননগর কমিশনারেটের পক্ষ থেকেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন– পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক দফতরের উদ্যোগে হজযাত্রার কাজ অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা এ ব্যাপারে তাঁদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করছেন।
খোয়া যাওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ায় রাজ্য হজ কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হজযাত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। সউদি থেকে টেলিফোনে তিনি বলেন– রাজ্য হজ কমিটির কাছে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে তাঁরা এই অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। মহান আল্লাহর পাকের পবিত্র ভূমিতে রাজ্য হজ কমিটির আধিকারিক এবং রাজ্য বাসীর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যাতে প্রত্যেকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখেন। সোমবারই তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যাতে পবিত্র মক্কায় তাঁর কোনও সমস্যা না হয়।
হজযাত্রার কাজে নিযুক্ত উত্তর ২৪ পরগণার জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন– খোয়া যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে দিতে পেরে কৃতজ্ঞ। রাজ্য হজ কমিটির কাজের প্রসংশা করেন তিনি।