পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : তেলেঙ্গানায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন অটো-চালকের। মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ ও আত্মহত্যা। গতবছরের ২৪ ডিসেম্বর থেকে চলতি মাসের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই মৃত্যুর ঘটনাগুলি ঘটেছে। কিন্তু একসঙ্গে এতগুলি মৃত্যুর কারণ কি? সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী,সম্প্রতি তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস সরকার মহিলাদের জন্য ‘মহালক্ষ্মী প্রকল্প’ চালু করেন। এই প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস সরকার। কিন্তু প্রকল্পই নাকি অটো চালকদের মৃত্যুর পরোক্ষ কারণ। কারণ মহালক্ষ্মী প্রকল্পে বিনামূল্য বাস পরিষেবা থাকার ফলে মহিলারা অন্য যান বাহনের পরিবর্তে বাসকেই প্রাধান্য দিচ্ছে, ফলে মার খাচ্ছে অটো পরিষেবা। দুই মাসের ব্যবধানে ১৩ জন অটো চালকের মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অটো কিনে চালকরা ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। তীব্র আর্থিক চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে তারা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, তেলেঙ্গানায় পুরুষদের জন্য এই ধরনের স্কিম নেই। তাহলে পুরুষরাও কি বাসে অটো-বাসে টিকিট না দিয়েই ভ্রমণ করছেন?
গত দুদিনে নালগোন্দা জেলায় দুজন অটো চালকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ইকুলা উপেন্দর (২৪) নামে এক চালক কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে রাঙ্গারেড্ডি জেলার ইব্রাহিমপত্তনমের বদলা মল্লেশ নাগার্জুনসাগর জলাধারে ঝাঁপ দিয়ে জীবন শেষ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৪ ডিসেম্বর গোদাবরী গ্রামে পেন্ডিয়ালা সারাইয়া (৫০) নামে এক অটো চালক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, চলতি বছরে ৫ জানুয়ারি পি সতীশ গৌড়া (৩৫) আত্মহত্যা করেন, ৬ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মেদক জেলার হাভেলির নরসিমা গৌড়। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে নরসিমার মা লক্ষ্মীর(৬০) হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি মেদিকোন্দা গ্রামের ভেমুলা সত্য নারায়ণ (৫১) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু, এম অনিল কুমার( ২৬) ১৬ জানুয়ারি আত্মঘাতী হয়েছেন, সেখ হামিদ (২৯) নামে এক অটো চালকের মৃত্যুর কারণ অজানা, ৩৬ বছরের আকবর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন, ২০ জানুয়ারি সেখ গুলামের(৪৪) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে, কোদাঙ্গলের মুদাবথ রাহুল (২৬) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন, মুহাম্মদ সমীর পাশা (২২) ২২ জানুয়ারি কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন।