পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ “ ঘোড়া কেনাবেচার” আশংকায় নব নির্বাচিত বিধায়কদের পঞ্জাব থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস এবং আপ। আগামী ১০ই মার্চ উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পঞ্জাব, মণিপুর গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা হবে আগামী ১০ মার্চ।বিজেপি বিধায়ক কেনাবেচা করতে পারে এই আশংকা থেকেই সম্ভাব্য বিধায়কদের কংগ্রেস এবং আপ সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেসের সম্ভাব্য বিধায়কদের সরানো হবে রাজস্থান এবং আপ তাদের সম্ভাব্য জয়ীদের দিল্লির গোপন আস্তানায় রাখতে চায়।বুথ ফেরত সমীক্ষা থেকে যে ইঙ্গিত মিলছে তাতে দেখা যাচ্ছে পঞ্জাবে ত্রিশঙ্কু সরকার হওয়ার প্রবণতা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে সেইক্ষেত্রে বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে সরকার গঠনের জন্য। বিধায়ক কেনাবেচা করা গেরুয়া শিবিরের জন্য একটা অত্যন্ত পরিচিত অনুশীলন। তাই কোন ঝুঁকি নিতে চায়না কংগ্রেস এবং আপ। সেই কারণে আগাম সতর্কতা অবলম্বন।রাজস্থানে যেহেতু শাসকদল কংগ্রেস তাই সেই দলের সম্ভাব্য বিধায়কদের জয়পুরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলছে কংগ্রেস পঞ্জাবে পেতে পারে ৫০ এর কাছাকাছি আসন। সেই ক্ষেত্রে সরকার গঠণের জন্য কংগ্রেস নির্নায়ক ভূমিকা নিতেই পারে। সে ক্ষেত্রে কোন ঝুকি নিতে নারাজ হাইকমান্ড।পাশাপাশি আপ শীর্ষ নেতৃত্বের কথায় তাঁরা কোনমতেই তাঁদের সম্ভাব্য বিধায়কদের ঘোড়া কেনাবেচার অংশীদার হতে দেবেননা। তাই তাঁদের পঞ্জাব থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিরোমণি আকালি দলের সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল গত কয়েকদিন ধরে দিল্লিতে রয়েছেন। অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা অনুসারে এসএডি-বিএসপি জোট প্রায় ৩৫টি আসন পেতে পারে। এসএডি নেতারা বিজেপির সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছেন।