পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারকে বাদ দিতে চাইছে ইরান। এজন্য তারা ইরান থেকে তেল কেনা দেশ ও সংস্থাগুলোকে ইউরোতে তাদের পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে, পাওনাদার গ্রুপগুলোকেও অর্থ পরিশোধে ইউরো ব্যবহার করার অনুরোধ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানির (এনআইওসি) জানায়, ইরান ফ্রান্সের তেল ও গ্যাস প্রধান টোটাল, স্প্যানিশ রিফাইনার সেপসা ও লিটাস্কো, রাশিয়ার লুকোয়েলসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার সাথে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত তেল চুক্তির লেনদেনে ইউরো ব্যবহারের শর্ত যুক্ত করবে।
এনআইওসি বলছে, ’আমাদের চালানগুলোর একটি ধারায় উল্লেখ করেছি, তেলের ক্রেতাদের ইউরোতে পাওনা মেটাতে হবে। এক্ষেত্রে ডেলিভারির সময় ডলারের বিপরীতে বিনিময় হার বিবেচনা করে ইউরোর পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।’ অন্যদিকে, তেহরান তার অংশীদারদেরও মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ইউরোতে অর্থ লেনদেনের কথা জানিয়েছে।। ইরান বহু বছর ধরেই আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যের মুদ্রা হিসেবে ডলারের পরিবর্তে ইউরো ব্যবহার করতে চাইছে। ২০০৭ সালে ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ চেষ্টা করেছিলেন, ওপেক সদস্যরা যাতে ডলার থেকে দূরে গিয়ে ইউরো ব্যবহার করতে শুরু করে। তার সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু তিনি তখন ডলারকে ‘কাগজের মূল্যহীন টুকরো’ বলে অভিহিত করেছিলেন। ইরান যখন তার পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে বিভিন্ন রকমের নিষেধাজ্ঞার চাপে ছিল, তখনই দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ডলারের পরিবর্তে ইউরোতে তার সমস্ত বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনার নিয়ম তৈরি করেছিল।