পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রচারের শেষ দিনে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রচার ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল যদুবাবুর বাজারে। সোমবার এই প্রচার চলাকালীন বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ। তাকে ঘিরে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। স্লোগান ওঠে ‘জয় বাংলা’। পাল্টা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। স্লোগানে গলা মেলান দিলীপ ঘোষও। এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরাই এই বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এদিকে তৃণমূল এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে, স্থানীরাই এই বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এখানে কোনওভাবেই তৃণমূল যুক্ত নয়। এই বিক্ষোভের মুখে দিলীপের নিরাপত্তারক্ষীদের বিক্ষোভকারীদের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায়।
ফের ভোটের মুখে রাজ্যের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। এদিকে ভবানীপুর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন। আজ বিকেল ৪টের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ।
ভবানীপুর কাণ্ডে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য’, এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে এর বিহিত করতে হবে।
শুভেন্দুর সঙ্গে একই সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তের বক্তব্য, বাংলায় গণতন্ত্র নেই। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। এর মধ্যে গণতন্ত্রের যে উৎসব, ভোট তা হওয়া আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়েই সন্দেহ জাগছে। সন্ধ্যাবেলায় আমাদের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যাবে। তারা কথা বলবে। একজন সর্বভারতীয় সহ সভাপতির উপর যদি এ ধরনের আক্রমণ হতে পারে, সাধারণ মানুষ কিভাবে ভোট দিতে পারবেন?
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, তৃণমূল মানুষের কাছে যেতে পারছে না। তাই বিজেপির পিছনে পড়ে আছে। আমাকে বারবার বাধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি যা করার, তা করে গেছি। পালটা উত্তর দিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করছেন। কোথাও আটকানো হয়নি। নিজেরা গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছে।’
তৃণমূলের সৌগত রায় বলেন, ‘বিজেপি কিছু ঘটানোর চেষ্টা করছে। বহিরাগতরা বাইরে থেকে এসে অশান্তি ছড়াচ্ছে’।