গাজিয়াবাদ, ১১ জানুয়ারি: বিজেপি মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে সরব দলেরই কাউন্সিলর। গাজিয়াবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (জিএমসি) বিজেপি মেয়র সুনীতা দয়াল। কর্পোরেশনের এক বৈঠকে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন দলেরই কাউন্সিলর সচিন দাগর। মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় ক্ষুদ্ধ হন তিনি। মেজাজ হারিয়ে বিজেপি কাউন্সিলরের ‘মুন্ডু’ কেটে ফেলার হুমকি দিয়েছেন তিনি। সুনীতা দয়ালের বির্তকিত মন্তব্যের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
গত মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের বোর্ড মিটিং চলছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপির একাধিক কাউন্সিলর ও আধিকারিকরা। বোর্ড মিটিংয়েই দুর্নীতি নিয়ে সরব হন সচিন দাগর। মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় উচ্চ বাক্য বিনিময় ও তর্কবির্তক শুরু হয়। কর্পোরেশনের বৈঠকেই বিজেপি কাউন্সিলর সচিন দাগর অভিযোগ করেন, “একদিকে মেয়র পৌর নিগমের জমিতে নির্মিত বাড়িগুলি ভেঙে ফেলার কাজ করছেন। অন্যদিকে ‘জমি মাফিয়া’দের সহায়তা করছেন। গ্রেফতার জমি মাফিয়াদের মুক্তি দিতেও চেষ্টা করছেন মেয়র।” বিজেপি কাউন্সিলর দাবি করেন, ‘জমি মাফিয়া’রা রাজেন্দ্রনগর শিল্প এলাকায় অবস্থিত পার্কের জমিতে অবৈধভাবে রাস্তা তৈরি করছে। বেআইনি কাজের জন্য মেয়রকে ৩০ লক্ষ টাকাও দিয়েছে জমি মাফিয়ারা।’
বিজেপি কাউন্সিলরের তোলা অভিযোগের পরই ক্ষুব্ধ হন মেয়র। বিজেপি কাউন্সিলরকে পাল্টা জবাবে মেয়র বলেন, ৪০ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার ফলেই তিনি মেয়র পদে বসেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন মেয়র। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, মেজাজ হারিয়ে বিজেপি কাউন্সিলরের ‘মুন্ডু’ কেটে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন মেয়র। এমনকি তাঁর দিকে আঙুল তুলে কথা বললে কাউন্সিলরের আঙুলও কেটে ফেলবেন মেয়র।
মেয়র সুনীতা দয়াল বলেন, যখন তিনি জানতে পারেন যে রাস্তা তৈরির কারণে পুলিশ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অন্যায় ব্যবস্থা নিচ্ছে। তখন তিনি পৌর নিগমের কর্তাদের ডেকে কারো বিরুদ্ধে অন্যায় ব্যবস্থা নিতে নিষেধ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি এবিষয়ে সরকারের পাশাপাশি দলকেও চিঠি দেব। আমি এটা সহ্য করবো না।’
অন্যদিকে পৌর কমিশনার বলেন, ‘পার্কের জমিতে রাস্তা তৈরির বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার কোনো প্রমাণ থাকলে দেখান। প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ করবেন না’। বিজেপি কাউন্সিলর সচিন দাগর স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেননি। কেবল সত্যিটা তুলে ধরতে চেয়েছেন। তাঁর আরও বক্তব্য, তাঁর অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে তিনি পদত্যাগ করবেন।