ইনামুল হক, বসিরহাট: বাগুইহাটির দুই ছাত্র খুনে তদন্তে নেমে দেহ উদ্ধার স্থান বসিরহাটের হাড়োয়া ও ন্যাজাটের ঘটনাস্থলে সিআইডি ও ফরেনসিক দল আসে বৃহস্পতিবার দুপুরে। দেহ উদ্ধারের দুটি জায়গা থেকে মাটি, রক্ত ও এলাকায় দড়ি দিয়ে চিহ্নিত করে ফরেনসিক কর্তারা নিজেরদের ক্যামেরা ছবি তুলে নিয়ে গেলেন।
কিভাবে দুষ্কৃতীরা দুই ছাত্রকে একটি চারচাকা গাড়িতে করে এনে বাসন্তী হাইওয়ের কুলটি ও রাজবাড়ির শিরিষতলা তলায় ফেলেছিল তা তদন্তে করে দেখছে সিআইডির ফরেনসিক দল। ইতিমধ্যে মৃত ছাত্রের পরিবার সিআইডি তদন্তের ওপরে বিশ্বাস রেখেছে। অবিলম্বে মূল দুষ্কৃতী যাতে গ্রেফতার করা হয়, সেই আবেদন জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে।
বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরে নড়েচড়ে বসে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন।
বাগুইহাটি থানার আইসি ও তদন্তকারি অফিসার তথা এক এসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। হাড়োয়ার কুলটিতে একটি ইটভাটার পুকুরে অতনু দে’র মৃতদেহ ফেলে রাখা ছিল। পাশাপাশি নেজাট থানার বাসন্তী হাইওয়ের রাজবাড়ি শিরিষতলার এক মেছোঘেরিতে অপর ছাত্র অভিষেক নস্করের মৃতদেহ পড়েছিল।
রাজ্যের সিআইডি ও ফরেনসিক দলের প্রতিনিধি দুটি ঘটনাস্থলেই যান। ফরেন্সিক ছয় জন ও সিআইডি ছয়জনের মিলিয়ে মোট ১২জনের প্রতিনিধি দল এদিন দুপুরের পর এলাকায় আসেন।
সূত্রের খবর, কয়েকজন ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞকেও আনা হয়। তারা একদিকে সেখানকার মাটি রক্ত নমুনা সংগ্রহ করেন। অন্যদিকে সেই এলাকা চারিদিকে দড়ি দিয়ে মার্কিং করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নিজের ক্যামেরায় ছবি তুলে নেন। এদিন প্রায় সন্ধ্যা ছটা নাগাদ সিআইডি ও ফরেনসিক প্রতিনিধিরা এই এলাকা ছেড়ে যান। সব মিলিয়ে বাগুইহাটির দুই কিশোর ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে তদন্ত শুরু হয়েছে জোরকদমে।