বিশেষ প্রতিবেদন: বিয়েতে নয়, ডেটিং ও লিভ টুগেদারে আগ্রহ বাড়ছে চিনা যুবক-যুবতীদের। বিয়ের হার কমে যাওয়ায় সরকার বিবাহিত দম্পতিদের জন্য বিভিন্ন নীতি ঘোষণা করেছে। এর মধ্য দিয়ে তাদের বিয়ে করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে তেমন সাড়া মিলছে না। ২০১৩ সালে যেখানে প্রায় ১ কোটি ৩৫টি দম্পতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, গত বছর সেই সংখ্যা কমে প্রায় তার অর্ধেক হয়েছে। অর্থাৎ ২০২২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মাত্র ৬৮ লক্ষ মানুষ। তথ্য বলছে, চিনের যুবক-যুবতীরা বিয়ে করছেন অনেক দেরি করে। সেখানে বিবাহ বিচ্ছদের হার বাড়ছে। তার চেয়ে বেশি পরিমাণ মানুষ একা থাকাকেই বেশি পছন্দের মনে করছেন। তরুণ-তরুণীরা বলছেন, তারা আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গে বিয়েকে বেমানান হিসেবে দেখছেন। সাংহাইয়ের ২৬ বছর বয়সী ইউ ঝাং বলেছেন, চিনে বিয়ে হল একরকম মারা যাওয়ার মতো। ঝাং ল্যাবরেটরির একজন টেকনিশিয়ান। দু’বছর ধরে প্রেমিকাকে নিয়ে একসঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন। তবে তাদের মধ্যে বিয়ে নিয়ে কম কথা হয়। তারা যখনই বিয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন, তখন এই উপসংহারে আসেন যে, ‘বিয়ের চিন্তা আমাদেরকে সুখে থাকার চেয়ে বেশি হতাশাগ্রস্ত করে’। তারা বিয়েকে দেখেন দুটি পরিবারের একত্রিত হওয়া হিসেবে। পাশাপাশি একটি বাড়ি কেনা এবং একটি পরিবার শুরু হিসেবে। এই মুহূর্তে এসব ভাবনাকে তারা অবাস্তব হিসেবে দেখেন। আর একটি পরিবার শুরু করতে গিয়ে একটি সন্তান বড় করা খুবই ব্যয়বহুল। ঝাং এবং তার প্রেমিকার মতো চিনের যুগলদেরকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করাতে উৎসাহিত করছে সরকার। কিন্তু তারা এতে যথেষ্ট সফল হচ্ছে না।