পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ভ্যাকসিন সংকট মেটাতে চিন থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছল ৫০ লক্ষ করোনা টিকা। ঢাকায় অবস্থিত দূতাবাস এই খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ৫০ লক্ষ সিনোফার্ম-এর টিকা এসেছে। চিনের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার চিনের তিয়ানজিয়াং বিমানবন্দর থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে ওই টিকা এসে পৌঁছেছে। ২ মে চিন সরকারের কাছ থেকে সিনোফার্মের ৫ লক্ষ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসে। সেটাই ছিল চিন থেকে আসা প্রথম টিকা। গত ১৩ জুন দ্বিতীয়বারে আসে ৬ লক্ষ ডোজ টিকা। ৩ জুলাই ও ৪ জুলাইও বিমানে ২০ লক্ষ ডোজ, ১৭ জুলাই ১০ লক্ষ ডোজ এবং ১৮ জুলাই ১০ লক্ষ ডোজ টিকা বাংলাদেশে পৌঁছয়। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ২৬ কোটি টিকার ডোজের। এর মধ্যে কোভ্যাক্সের অধীনে ১৬ কোটি টিকা পাওয়া যাচ্ছে। আলাদাভাবে সিনোফার্মের কাছ থেকে সাড়ে ৭ কোটি টিকা কিনছে বাংলাদেশ। সেরাম ইন্সটিটিউটকে যে ৩ কোটি টিকার বরাত দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ২ কোটি ৩০ লক্ষ টিকাই এখনও বকেয়া রয়েছে। এবার এল আরও ৫০ লক্ষ টিকা।
বাংলাদেশে টিকা সংকট দেখা দেওয়ায় বিদেশে রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে চিনের কাছেই সহায়তা চায় বাংলাদেশ। এপ্রিল মাস থেকেই বাংলাদেশে টিকা রফতানি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করে চিন। কোভ্যাক্সের আওতায় চিনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি করোনা টিকা কিনতে চলেছে বাংলাদেশ। আগামী অক্টোবর মাস থেকেই এই টিকা রফতানি শুরু হবে বাংলাদেশে। ভারত ও চিনের কাছ থেকে উপহার স্বরূপও ৭০ লক্ষ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ।
চলতি বছরের আগস্ট মাসে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী জানান, ভারতে করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। সংকট কেটে গেলে ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। চুক্তি অনুযায়ী সেরাম থেকে শিগগিরই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাবে বাংলাদেশ। ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, আমরা টিকার উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি।