ইনামুল হক, বসিরহাটঃ টাকির শতাব্দী প্রাচীন দুই বাংলার বিসর্জন রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য এমনকি বিদেশের ভৌগোলিক মানচিত্রের জায়গা করে নিয়েছে। বিসর্জন কে ঘিরে। একেবারে অন্যরকম আবেগ অনুভূতি থাকায় ভারতবর্ষসহ বিদেশ থেকেও পর্যটকরা এখানে এই বিসর্জন দেখতে ভিড় জমান ইছামতি পারে। কিন্তু দুই বাংলার বিসর্জন ঘিরে ইতিমধ্যে কঠোর নিরাপত্তা নিয়েছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী । এই নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফ বৈঠক শেষ করে ফেলেছে। টাকি পৌরসভা বসিরহাট পুলিশ জেলা নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলেছে, ইছামতির রাজবাড়ী ঘাট, ঘোষ বাবুর ঘাট, সৈয়দপুরের ঘাট ইতিমধ্যে মেইন পয়েন্টগুলোকে চিহ্নিত করেছেন। বাংলাদেশ সীমন্ত রক্ষী বাহিনী ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ইছামতি নদীর মাজ বরা পেট্রোলিং করবেন, ইছামতি নদীর মাঝখান থেকে একটি দড়ি দিয়ে তারা সীমারেখা চিহ্নিত করে ফেলেছেন। বাংলাদেশের প্রতিমা বাংলাদেশের সীমান্তে বিসর্জন হবে।ভারতীয় প্রতিমা ভারতের সীমান্ত বিসর্জন হবেশ বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ড. জবি থমাসকে জানান, ইছামতি নদীতে বিসর্জন ঘিরে সব রকম কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। দুই দেশের ঠাকুরের নৌকা ও দর্শনার্থীরা কেউ কারো সীমান্ত অতিক্রম করবে না। সেই নির্দেশিকা জারি করেছে বসিরহাট পুলিশ জেলা। বরাবরই টাকি সীমান্তে ইছামতি নদীর দুই বাংলার বিসর্জন প্রাচীন সংস্কৃতি আবেগ অনুভূতি জড়িয়ে রয়েছে। তবে দুই দেশের প্রশাসনিক আধিকারিক সহ জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ফুল মিষ্টি শুভেচ্ছা বিনিময় নির্দিষ্ট সময় মেনে হবে। কিন্তু প্রতিমা বিসর্জন যে যার সীমান্তে বিসর্জন করতে হবে। কোনরকমে অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য মেডিকেল টিম স্বাস্থ্যকর্মী জলে ভ্রাম্যমান অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা রাজ্য বিপর্যয় মোকাবেলা দল, প্রতিটা ঘাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইট ব্যবস্থা করা হয়েছে জেলা রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনী, মেডিকেল টিম সবরকম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।