পারিজাত মোল্লা: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ তুলে মানহানি মামলা করলো রাজ্য সরকার। ট্যুইট করে মিথ্যা প্রচার করেছেন বলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ কলকাতা পুলিশের। এরপরই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ করে কলকাতার এক নিম্ন আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে বুধবার মানহানির মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। যদিও মামলা গ্রহণ করা হবে কি না, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি আদালত। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্যের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, -‘গত ১৭ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের নম্বর থাকা একটি বাসের ছবি দিয়ে টুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, কয়লা এবং নিয়োগ দুর্নীতির নথি পাচার করা হচ্ছে ওই বাসে’।
এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এরপরই পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ওই বাসে ছিলেন জেড প্লাস নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ কর্মীরা। এর পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে তথ্য পাচারের কোন যোগ নেই বলেও সাফ জানিয়ে দেয় কলকাতা পুলিশ।সেই কারণে রাজ্য সরকারের তরফে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে রাজ্যকে বদনাম করার অভিযোগ তুলে ফৌজদারি আইনে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে। সেইসঙ্গে মামলা গ্রহণ করে দ্রুত শুনানির আর্জিও জানানো হয় রাজ্যের তরফে। যদিও এই মামলাটি শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে কি না, সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
উল্লেখ্য গত ১৭ এপ্রিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে জুড়ে একটি টুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই টুইট দেখে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সাউথ)-কে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।তদন্তে জানা যায় ১৬ এপ্রিল রাত্রে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কাজে ব্যবহৃত হবে বলে এই গাড়িটি আসে কালীঘাট রোডে। সেটি ওখানেই রাখা ছিল ফলে এই গাড়িটিকে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া বা নিয়ে আসার কোন প্রশ্নই নেই।
এদিন মামলা দায়েরের সময় এই ঘটনার সিসিটিভি রিপোর্টও আদালতে জমা করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। পাশাপাশি সেখানে যে পুলিশ কর্মীদের দেখা যায় তাঁরা জেড প্লাস নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁরা আলাদা করে কোন গাড়িকে বিশেষ নিরাপত্তা দেয়নি।
এক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে যে বক্তব্য শুভেন্দু অধিকারী ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পেয়েছিলেন তথ্য যাচাইয়ের জন্য। তারপরও কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ বাহিনীকে অবমাননার জন্যই তিনি এই ট্যুইট করেছেন। সেই জন্যই বিনীত গোয়েলের হয়ে রাজ্যের তরফ থেকে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।