পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিজেডি-বিজেপি পার্টনারশিপের সরকার (BJP-BJD ‘partnership) চালাচ্ছে, ওড়িশায় (Odisha) ন্যায়যাত্রা থেকে এই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার রাউরকেল্লার বেদব্যাস মন্দিরে পুজো দিয়ে ওড়িশায় দ্বিতীয় দিনের ভারত ন্যায় যাত্রা (‘Bharat Joda Nyay Yatra) শুরু করেন রাহুল। আর সেখান থেকে বিজেপি ও বিজেডিকে নিশানা করে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধি। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন এআইসিসি ইনচার্জ অজয় কুমার ও ওড়িশা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শরৎ পট্টনায়েক।
বুধবার মন্দির দর্শনের পর রাহুল (Rahul Gandhi ) উদিতনগর থেকে মিছিল করে পানপোশ চকের দিকে রওনা দেন। পানপোশ চকে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেডি সরকার ও বিজেপির দিকে কটাক্ষের আঙুল তুলে রাহুল বলেন, ওড়িশায় নবীন পট্টনায়েক ও নরেন্দ্র মোদি বিজেডি-বিজেপি পার্টনারশিপের (BJP-BJD ‘partnership) সরকার চালাচ্ছে। রাজ্যে অংশীদারিত্বের বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই চালাচ্ছে কংগ্রেস।
রাহুল বলেন, ওড়িশা থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ কাজের জন্য অন্য রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে, আর বাইরে থেকে ৩০ জন কোটিপতি রাজ্যের সম্পদ লুট করতে এসেছে। এখানে শোষিত হচ্ছে উপজাতি থেকে দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণি। ওড়িশায় উপজাতীয়দের একটি বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে, তবে তারা এবং দলিতরা রাজ্যে সরকার কর্তৃক অবহেলিত হচ্ছে। আমি এখানে এসেছি আপনার ‘মান কি বাত’ ৬/৭ ঘন্টা শুনতে এবং ১৫ মিনিটের জন্য একটু কথা বলতে। রাহুল আরও স্পষ্ট করে বলেন, ওড়িশায় সব থেকে বড় সমস্যা হল বেকারত্ব আর শিল্প-কলকারখানাগুলি ঠিকভাবে চলছে না।
ন্যায়যাত্রায় এদিন শিডিউলের মধ্যে ছিল রাহুলের (Rahul Gandhi) মধ্যাহ্ন ভোজনের বিরতি। বিকেলে কুটরা ও বড়গাঁওয়ের আরও দুটি জনসভা। রানিবাঁধ থেকে যাত্রা শুরু করে, রাজগঞ্জপুরে জনসভায় ভাষণ। সুন্দরগড় শহরে বাসস্ট্যান্ড চক থেকে এসবিআই চক পর্যন্ত ১ কিলোমিটার পদযাত্রা। রাতে জনসভা করে ঝাড়সুগুড়ার আমলিপালি মাঠে রাত্রিবাস করবেন রাহুল।
বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধি ঝাড়সুগুড়ার পুরনো বাসস্ট্যান্ড থেকে ফের তাঁর যাত্রা শুরু করবেন। পরে একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা আছে কংগ্রেস সাংসদের। পরে তিনি ঝাড়সুগুড়ার কানাক্টোরা থেকে আবার যাত্রা শুরু করে, ছত্তিশগড়ে প্রবেশ করবেন।