নয়াদিল্লি: বহু মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে জেলে বন্দি। মামলা আদালতে ঝুলছে। এমন অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া যায় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে দেখছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনটাই জানিয়েছে বার অ্যান্ড বেঞ্চ। বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কওল ও বিচারপতি ঋষিকেশ রায়ের একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, যে সব জামিনের আবেদন বহুদিন ধরে শুনানির অভাবে পড়ে রয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এত দিন ধরে মানুষ হেফাজতে থাকতে পারেন না। শীর্ষ আদালত এই মর্মে এলাহাবাদ হাইকোর্টের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল গরিমা প্রসাদ বেঞ্চকে জানিয়েছেন যে, কেবলমাত্র তাঁদেরই শুনানি আটকে আছে যাঁদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। ব্যয় বহন করতে অপারগ। তাছাড়া, বিচার প্রক্রিয়ায় অসাম্যের দিকটিও উঠে এসেছে এই পরিপ্রেক্ষিতে। জামিনের জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার বহু শর্ত চাপিয়ে রেখেছে। মামলা ঝুলে থাকার এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ। অপরাধের প্রকৃতি, অপরাধীর অতীত ইতিহাস, অপরাধমূলক কার্যকলাপের ইতিহাস ও জামিনের আবেদন করার ধরনকে বিবেচনা করা হয় যোগীরাজ্যে। অতিরিক্ত শর্ত হিসাবে অপরাধীর ব্যক্তিগতভাবে হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়াকেও ধরা হয়ে থাকে। নালসার ভিসি ফাইজান মুস্তাফা বেশ কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, শাস্তিমূলক জামিনের নির্দেশ আইনি প্রক্রিয়াকে ব্যাপকভাবে ব্যাহত করছে।