পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করে ১০০ বছরের প্রাচীন মন্দির পুনর্নির্মাণ করল ইমরান খানের সরকার। শুধু সারিয়ে তোলা নয়, বছরের শুরুতেই ভারত-আমেরিকা-সৌদি আরবের বসবাসরত বহু হিন্দু প্রার্থনা করলেন সেই মন্দিরে। ভিন দেশ থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল পাক সরকার।
খাইবার পাখুতুনখোয়া প্রদেশের করক জেলার টেরি গ্রামে মহারাজ পরমহংসজির শতাব্দী প্রাচীন মন্দির রয়েছে। ১৯৯৭ সালে মন্দির ধ্বংস করেছিল মৌলবাদীরা। ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর সমাধিতে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। অভিযোগ, জামায়েত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ভেঙে ফেলা হয় সেই সমাধিও। এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ করে গত এক বছরে সমাধিস্থল পুনর্নির্মাণ করে ইমরান সরকার।
পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের তরফ থেকেই শনিবার পরমহংসজির মন্দিরে পুজো দেওয়ার বিষয়টি আয়োজন করা হয়। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশানাল এয়ারলাইন্সও সেই উদ্যোগে সামিল হয়েছিল। দূর-দূরান্ত থেকে আসা হিন্দুরা রবিবার দুপুর, বিকেল পর্যন্ত ওই মন্দিরে পুজো দেবেন বলে খবর।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রোহিত কুমার এমন ব্যবস্থা করার জন্য এবংমন্দির পুননির্মাণের জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, “ভারত থেকে আগত হিন্দুরা মন্দিরে পুজো দেন। এটি এই অঞ্চলে শান্তি ও ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রচারের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা।”
শনিবার ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে হিন্দু কাউন্সিল আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতীয়রা। সীমান্ত থেকে তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মন্দির পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি পুন্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে এই খবরে অনেকেই হরিদ্বারে দেশের ধর্ম সংসদের প্রসঙ্গ মনে করিয়েছেন।কেন্দ্রীয় শাসকদল যে বিদ্বেষীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে তা নিয়েও অনেকের গলায় শোনা যায় অভিযোগ।