পুবের কলম প্রতিবেদক: আমরি হাসপাতালকে কিনে নিল মণিপাল হাসপাতাল। মণিপাল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত গ্রুপ বলে গণ্য করা হয়। প্রায় ২৪০০ কোটি টাকায় হাত বদল হল। আমরি হাসপাতালের এই বৃহত্তর শেয়ার অংশ ক্রয় করল মণিপাল হাসপাতাল।
পূর্বভারতের অন্যতম বড় হেলথকেয়ার গ্রুপ হল এই মণিপাল গ্রুপ। আমরি হাসপাতালের মালিকানা ছিল ইমামি গ্রুপের হাতে। তবে আপাতত হাসপাতালের ৮৪ শতাংশ শেয়ার চলে গেল মণিপালের হাতে। বাকি ১৫ শতাংশ রয়েছে আমরির হাতে। আর ১ শতাংশ আছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাতে।
তবে আপাতত এই আমরি হাসপাতালের সিংহভাগ মালিকানাই চলে গেল মণিপালের হাতে। এদিকে মণিপাল ও ইমামির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আইনি লড়াইয়ের পর এবার ইমামি গ্রুপের হাত ছাড়া হয়ে গেল আমরি হাসপাতাল।
এদিকে চলতি ২০২৩ আর্থিক বছরে আমরির আয় হয়েছিল প্রায় ১০০০ কোটি টাকা। প্রাাথমিকভাবে এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে এবার মণিপালের হাতে যাওয়ার পরে সেই আয় অনেকটাই বাড়তে পারে। এমনকী সেই আয় বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫০০ কোটি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রায় ১৮ মাস ধরে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত এই হাসপাতালের সিংহভাগ চলে গেল মণিপালের হাতে। সেই সময়ের মধ্য়েই মণিপাল দিল্লি হাইকোর্টে চলে গিয়েছিল। যাতে ইমামি অন্য কাউকে এই হাসপাতাল বিক্রি করে দিতে না পারে সেকারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এদিকে মণিপালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এবার তারা পূর্বভারতে তাদের শাখা বিস্তার করতে পারবে। এই এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদা পূরণে এবার সক্ষম হবে তারা।
কলকাতার ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর ও সল্টলেকে আমরির হাসপাতাল রয়েছে। ভুবনেশ্বর, ওড়িশাতেও তাদের শাখা রয়েছে। তবে এবার আমরির স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে আরও চিকিৎসক, বেড যুক্ত হতে পারে বলে খবর।
মণিপাল হেলথ এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড (মনিপাল হাসপাতাল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও দিলীপ জোস বলেছেন, সময়ের সাথে সাথে চারটি হাসপাতালের নাম এএমআরআই থেকে মণিপাল হাসপাতালে পরিবর্তন করা হবে।
একটি ব্র্যান্ডের নামে সমস্ত হাসপাতালের পরিচয় হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে নামকরণ হবে মণিপাল হাসপাতাল। রোগীদের জন্য সহজ হবে। ব্র্যান্ডের নাম পরিবর্তনে কিছুটা সময় লাগবে, প্রায় ছয় মাস।
তিনি বলেন যে, মণিপাল হাসপাতাল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল ৯,৫০০ শয্যা, ৫,০০০ এরও বেশি ডাক্তার এবং প্রায় ২০,০০০ কর্মচারী।
চারটি এএমআরআই হাসপাতালে ১,২০০ শয্যা, প্রায় ৮০০ ডাক্তার এবং প্রায় ৪,৫০০ কর্মচারী রয়েছে। তিনি আরো বলেন,এটি পূর্ব ভারতে আমাদের পা রাখার জায়গা।
দিলীপ জোস আরও বলেন, ভারতের পূর্বাঞ্চল স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে । উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য এই অঞ্চলের বাসি¨াদের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে দক্ষিণ ভারতেরবিভিন্ন হাসপাতালে ছুটতে হয়। এখন চিকিৎসা পরিষেবা অনেকটা সহজলভ্য হবে বলে জানান দিলীপ জোস।