বিশেষ প্রতিবেদন: আমেরিকায় লাগাতার সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে। বর্ণবাদের কারণে সেখানে সহিংসতা বাড়ছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওবামা ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিভিন্ন সময় এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিততে নতুন এক গবেষণায় বিশ্বের ৫০টি সহিংসতাপ্রবণ দেশের তালিকায় নাম এসেছে আমেরিকার। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে শুধু আমেরিকার নাম উঠেছে তালিকায়। গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে আমেরিকার ইউসকনসিন অঙ্গরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট (এসিএলইডি)। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ২৪০টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করেছে। তারা বলছে, দেশগুলোয় রাজনৈতিক কারণে সহিংসতা বেড়েছে। এসিএলইডি পূর্ববর্তী এক বছরের তথ্য সংগ্রহ করে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় এ বছর সহিসংতা ২৭ শতাংশ বেড়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার। প্রতিবছর চারটি মানদণ্ড ধরে সহিংস দেশের তালিকা প্রকাশ করে এসিএলইডি। এই মানদণ্ডগুলো হলো সহিংসতায় নিহতের ঘটনা, জনসাধারণের জন্য ঝুঁকি, সহিংসতাপ্রবণ এলাকার আয়তন, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংখ্যা। অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠান বলছে, গত বছর মোটামুটি সব দেশেই কমপক্ষে একটি হলেও রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। যে ৫০টি দেশ সহিংসতাপ্রবণ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে, সেগুলোকে আবার ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হল, ‘চরম’, ‘উচ্চ’ ও ‘উত্তাল’ সহিংসতাপ্রবণ দেশ। এসিএলইডি বলছে, মায়ানমারে সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র সংগঠন রয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে দেশটি। এরপর রয়েছে সিরিয়া ও মেক্সিকো। এই তালিকা রয়েছে লিবিয়া, ঘানা ও চাদ। আর বাকি দেশগুলোর অধিকাংশই আফ্রিকা ও এশিয়ার। নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদন এবং এই তালিকায় আমেরিকার স্থান পাওয়া প্রসঙ্গে এসিএলইডির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান স্যাম জোন্স বলেন, আমেরিকা এই তালিকায় স্থান পাওয়ার মধ্য দিয়ে এটা সামনে এল যে রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু দরিদ্র ও অগণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। স্যাম বলেন, যে মানদণ্ডগুলোর ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে জনসাধারণের জন্য ঝুঁকি ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংখ্যা। এই দুই মানদণ্ডের বিবেচনায় আমেরিকায় সহিংসতা বেড়েছে। এ জন্য সহিংসতাপ্রবণ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে দেশটি। তালিকায় ১৬ নম্বরে রয়েছে ভারত, ১৯ নম্বরে পাকিস্তান, আর ২২তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এসিএলইডির তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছে সিরিয়া, মেক্সিকো, ইউক্রেন ও নাইজেরিয়া।