পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে ১৩ তম কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের মঞ্চ থেকেই ভার্চুয়ালী বো ব্যারাকে ক্রিসমাসের আলোকসজ্জার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বড়দিন ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আজ থেকে শুরু হল ১৩তম ক্রিসমাস উৎসব। ২১ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে এই উৎসব চলবে। প্রত্যেক বছরের মত এবছরও বিভিন্ন শিল্পীরা এখানে অনুষ্ঠান করবেন। এই উৎসবের অঙ্গ হিসেবে অন্যান্য বারের মত এবারও পার্ক স্ট্রিটকে আলোর বর্ণমালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি, সেন্ট পলস, ক্যাথিড্রাল চার্চ ও সংলগ্ন এলাকা আলো দিয়ে সাজান হয়েছে। বো-ব্যারাকেও ক্রিসমাস উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “৩০ ডিসেম্বর এই উৎসব শেষ হয়ে গেলেও ১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই আলোকসজ্জা থাকবে। কলকাতার বাইরেও নানা জায়গায় এই উৎসব আমরা পালন করছি। আলোকসজ্জা করা হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, চন্দননগর, ব্যান্ডেল, কৃষ্ণনগর, ঝাড়গ্রাম, আসানসোল, হাওড়া, বিধাননগরের গুরুত্বপুর্ণ জায়গায়। উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কলকাতার আর্চবিশপ রেভারেন্ড টমাস ডি’সুজা, কলকাতার বিশপ রাইট রেভারেন্ড ড. পরিতোষ ক্যানিং, কলকাতার নগরপাল বিনীত কুমার গোয়েল, মুখ্য সচিব ডঃ হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকা, পর্যটন দপ্তরের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, কলকাতা পৌরসংস্থার কমিশনার বিনোদ কুমার, মেয়র পারিষদ (পার্কিং) দেবাশিষ কুমার, কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান ও সাংসদ মালা রায় এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।
এদিন তিনি আরও বলেন, ক্রিসমাসের আমার খুব ভালো লাগে। আমি মন্দিরেও যায়, মসজিদেও যায়। একইভাবে গুরুদ্বারেও যায়। হিন্দু-বৌদ্ধ-শিখও-জৈন-পারসিক-মুসলমান ও খ্রিষ্টান সব প্রোগ্রামে আমি যায়। আমার ভালো লাগে। ‘ডিফারেন্ট কালার, ডিফারেন্ট কাস্ট, ডিফারেন্ট কিড—-বাট অল টুগেদার উই আর ইউনাইটেড ফ্যামিলি’। আমি ধর্মের ওপর মানবতাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমি সকলকে ভালোবাসি। মানুষ’কে মানুষ মনে করি। ক্রিসমাস ভালোবাসা, সম্প্রতি, একতার প্রতীক। বড়দিন শান্তির বার্তা দেয়। আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানোর পয়গম দেয়।
এদিনের মঞ্চ থেকে ঐক্যের বার্তা দেন মমতা। বলেন, “আজকের দিনে এসে আমার ভাল লাগছে। সবাইকে বড়দিন ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই। সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে আমরা চলি৷ আমরা একতা নিয়ে চলি। বাংলা আমাদের গর্ব। আর ক্রিসমাসও আমাদের তাই শেখাই। মানুষের পিছনে তাঁর নামে খারাপ কথা না বলার মেসেজ দেয় এই ক্রিসমাস। কীভাবে সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলা যায় তার বার্তা দেয় এই ক্রিসমাস। হিন্দু-মুসলিম- জৈন-খ্রিস্টান এই বিভেদ ভুলে মানুষ’কে মানুষ ভাবার বার্তা দেয় এই ক্রিসমাস।