পুবের কলম প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে লাগাতার ৩১ ঘণ্টা ধরনা কর্মসূচি পালন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরপরই মিড-ডে মিলের টাকা পেল পশ্চিমবঙ্গ।
নবান্ন সূত্রে খবর, মিড-ডে মিলের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা হিসেবে প্রায় ৬৩৮ কোটি টাকারও বেশি টাকা কেন্দ্র রিলিজ করেছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকে। তবে শুধু মিড-ডে মিল নয়, সমগ্র শিক্ষা অভিযান খাতেও কেন্দ্র টাকা রিলিজ করল রাজ্যকে।
নবান্ন সূত্রে খবর, ৫৭৬ কোটি টাকা এই খাতে কেন্দ্র দিল রাজ্যকে। সূত্রের খবর, মূলত দুটি ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়েছে পশ্চিমবাংলা।
সম্প্রতি মিড-ডে মিল নিয়ে বিরোধীদের তরফে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তোলা হয়। শুধু তাই নয়, মিড-ডে মিল নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিদর্শনকারী দল রাজ্য পরিদর্শন করেছে। মূলত কেন্দ্র-রাজ্য মিলে এই পরিদর্শনকারী দল রাজ্যের একাধিক জেলা পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকারী দল দিল্লি ফিরে যেতেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের নির্দেশে মিড-ডে মিলের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে সিএজি অডিট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই অডিটের কাজ শুরু হয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বলেই সূত্রের খবর। তার মাঝেই মিড-ডে মিল খাতে কেন্দ্রের থেকে রাজ্য দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়া যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এরই সঙ্গে সমগ্র শিক্ষা অভিযান খাতেও টাকা পাওয়াকেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সমগ্র শিক্ষা অভিযান খাতের মধ্যে স্কুল পড়ুয়াদের বই দেওয়া, পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন-সহ একাধিক বিষয় যুক্ত রয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের কাছে টাকা এসে যাওয়ায় যথেষ্ট স্বস্তির বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকা, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার টাকা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে রাজ্যের অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার লাগাতার ৩১ ঘণ্টা ধরনা কর্মসূচি পালন করেছেন। ধরনা কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে কড়া আক্রমণ করার পাশাপাশি ‘দিল্লি চলো’-রও ইঙ্গিত দেন। যদিও এখনও পর্যন্ত রাজ্যকে ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার টাকা রিলিজ করেনি কেন্দ্র, যা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মাঝেই মিড-ডে মিলের টাকা রাজ্যে আশায় স্বস্তি রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে।