পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: প্রাথমিকের টেটের আবেদনপত্র গ্রহণ শুক্রবার বিকেল থেকেই শুরু করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল চারটের পর থেকেই অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২১ দিন টেটের আবেদনপত্র অনলাইনে তোলা ও জমা দেওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার প্রাথমিকের টেটের ক্ষেত্রে ফের নিয়মে বড়সড় বদল এনেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সংরক্ষণ তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা এই বদলের সুবিধা পাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে প্রার্থীদের মধ্যে যারা তপশিলি জাতি,উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর তাদের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ স্তরের পরীক্ষা বা স্নাতক স্তরে ৫ শতাংশ কম নম্বর পেলেও এই শ্রেণীভুক্তরা আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ সাধারণদের জন্য যেখানে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক সেখানে সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নম্বরের উর্ধ্বসীমা ৪৫ শতাংশ।
সংরক্ষণ তালিকাভুক্তদের পাশাপাশি শারীরিক দিক থেকে বিশেষভাবে অক্ষম, প্রাক্তন সেনা কর্মী ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি শ্রেণীর প্রার্থীরা এর সুবিধা পাবেন। ইতিমধ্যে সেই নির্দেশিকা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
বুধবার জারি করা নির্দেশিকায় পর্ষদ বলেছে, শুধুমাত্র ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষই নয়, এর পরবর্তী শিক্ষাবর্ষগুলিকেও যারা ডি এল এড বা বিএডে ভর্তি হয়েছেন, তারাও প্রাথমিকের টেট দিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট জানিয়েছেন, স্বচ্ছতার সঙ্গেই নেওয়া হবে প্রাথমিকের টেট। নিয়ম মেনে বছরে দু’বার টেট নেওয়া হবে বলেও আগেই দাবি করেছিলেন পর্ষদ সভাপতি। কোনও টেট পরীক্ষার্থী বসে থাকবেন না। পাশাপাশি ২০১৪, ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদেরও নিয়োগের জন্য আবেদন করার বার্তা দেন পর্ষদ সভাপতি।
ইতিমধ্যে পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, ১১ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে তারা পেয়েছেন।
দ্রুত এই পদগুলিতে নিয়োগ করা হবে বলেও দাবি করেন পর্ষদ সভাপতি। তবে টেটের নিয়মে সরলীকরণ আনার জন্য আরও আবেদনকারী পরীক্ষা দিতে পারবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা লক্ষাধিক বেড়ে যেতে পারে বলেই অনুমান করছে পর্ষদের আধিকারিকরা। এদিকে টেট পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পেরে খুশি আবেদনকারীরা।
পর্ষদ বলেছে, অবিলম্বে টেট পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে। এতে সিলেবাস নিয়ে পড়ুয়াদের বিভ্রান্তিতে পড়তে হবে না বলে পর্ষদের মতামত।