পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: রাস্তায় জোর করে এক হিজাব পরিহিতার ছবি তুলতে চেয়েছিলেন আমেরিকার টেনেসি অঙ্গরাজ্যের এক পুলিশ অফিসার। প্রথমত, হিজাব খুলতে চাননি ওই মুসলিম নারী। পরে পুলিশ বল প্রয়োগ করলে হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য হন সোফিয়া জনস্টন। এই ঘটনার পর টেনেসি পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সেই নারী। জানা যায়, মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন সোফিয়া। অভিযোগ, রাস্তায় পুলিশ পথ আটকে হেনস্থা করে ওই নারীকে। জোর করে হিজাব খুলতে বলা হয় তাঁকে। তবে ধর্মীয় কারণে হিজাব খুলতে চাননি তিনি। সোফিয়া বলেন, ‘আমি হতচকিত হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল কোনও অজানা স্থানে চলে এসেছি। ভয় পাচ্ছিলাম। হিজাব খুলতে বাধ্য করায় এক মুসলিম হিসাবে নিজেকে বিবস্ত্র মনে হচ্ছিল। মুসলিম হিসাবে হিজাবই আমাদের সুরক্ষাকবচ।’ সোফিয়া জানান, একমাত্র তাঁর পরিবারের সদস্যরাই তাঁকে হিজাব না পরে দেখেছেন, বাইরের কোনও ব্যক্তি নয়। পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়েছে, রাজ্যের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক আইন লঙ্ঘন করেছেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে পুলিশ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনও উত্তর দেয়নি। তবে সোফিয়া জনস্টনের এই মামলা আমেরিকার বুকে মুসলিম নারীদের হিজাবের অধিকার নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছে। কেন বারংবার মার্কিন পুলিশ মুসলিমদের হিজাবকে টার্গেট করছে? বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন সংবিধানে সব ধর্মের মানুষের স্বাধীনতার কথা বলা হলেও মার্কিন সমাজে এখনও টিকে রয়েছে ইসলাম-বিদ্বেষ, যা প্রতিদিন পথে-ঘাটে নানা ঘটনার মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে। শুধু আমেরিকাই নয়, ‘শালীনতার প্রতীক’ হিজাব নিয়ে ইউরোপের বহু দেশেরই বেশ সমস্যা হচ্ছে। আসলে ইউরোপীয় দেশগুলি এখন নোংরা সমকামিতা, নগ্নতা, মদ্যপান, জুয়া ও প্রকাশ্য যৌনতায় মেতে উঠেছে। এরই পাশাপাশি উগ্র ডানপন্থী ও ইসলাম-বিদ্বেষী কিছু রাজনৈতিক দল মুসলিমদের ধরে ধরে হেনস্থা করছে।