পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংসতা ও বর্বরতায় মৃত্যু উপত্যকা গোটা গাজা। চলমান আগ্রাসনে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ হাজার ফিলিস্তিনি। এদিকে, যুদ্ধের কারণে অনাহারে রয়েছেন ২০ লক্ষ ফিলিস্তিনি। গাজায় খাবারের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির জন্যও দেখা দিয়েছে হাহাকার। এমন পরিস্থিতিতে, দেইর আল-বালাহ’র কৃষকরা কেটে নিচ্ছেন অপরিপক্ক ফসল বা কাঁচা ফসল। অনেকটা অসহায় হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। রাষ্ট্রসংঘের তথ্যানুযায়ী, জ্বালানি, পানি ও গমের অভাবে উত্তর গাজায় ৭ নভেম্বর থেকে কোনও বেকারি চালু হয়নি। যুদ্ধের প্রভাবে বন্ধ রয়েছে সব রকমের খাদ্য সরবরাহ। ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপের পর থেকে ত্রাণ সরবরাহও প্রায় বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা বাধ্য হয়েই নিজেদের ‘শেষ সম্বল’ ফসলগুলো কেটে ফেলছেন কৃষকরা। গাজায় রাষ্ট্রসংঘের মাধ্যমে পাঠানো ত্রাণ ২৩ লক্ষ মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। সেই ত্রাণ দিয়ে সব ফিলিস্তিনির চাহিদা ও খিদে মেটানো অসম্ভব। রাষ্ট্রসংঘের ত্রাণসামগ্রী প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। তবে যেভাবে প্রতিদিনই ক্ষুধা ও রোগ গাজায় বিস্তার পাচ্ছে তাতে ফসল কাটা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না কৃষকদের কাছে।