পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সংসদে হলুদ ধোঁয়াকাণ্ড ক্রমশই জটিল হচ্ছে। দাদা শম্ভু ঝায়ের পরে, এবার ললিতের বাবার দাবি তার তার ছেলে নির্দোষ। তার ছেলে কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। আগামী ১০ ডিসেম্বর তাদের বিহারের দ্বারভাঙা ট্রেনে তুলে দেয় তার ছেলে। তার পর থেকে ছেলের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। তারা কলকাতায় থাকতেন। ছেলে খুব ভালো। পাড়ার সবাইকে জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন তার স্বভাব কেমন। ছেলে নির্দোষ। ছেলে শিক্ষিত। কিন্তু তার ছেলের হাতে কোনও কাজ নেই, বেকার। কেন তাকে গ্রেফতার হয়েছে জানি না। ন্যায় বিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হব আমরা।
ললিতরা আদতে বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা। এই মুহূর্তে তাঁর বাবা-মা দেবানন্দ ঝা এবং মঞ্জুলা ঝা’রা রয়েছেন দ্বারভাঙার বাড়িতেই। ললিতের বাবা-মার কথায়, “আমরা কলকাতাতেই থাকি। কিছুই বুঝতে পারছি না, কী হয়ে গেল! সবার সঙ্গেই ললিতের ভালো সম্পর্ক। দেবানন্দ ঝা জানান, আমরাও ললিতকে জিজ্ঞাসা করতে চাই কেন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ললিতের বাবার আরও দাবি, তার ছেলে হয়তো ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু পরে সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ললিত ঝা’য়ের বাংলায় দুটি ঠিকানার হদিশ মিলেছে। কলকাতায় বড়বাজারের পাশাপাশি বাগুইআটিতেও ললিতদের ভাড়াবাড়ির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁর প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন ললিতের আচার-ব্যবহারে কোনওদিন তাঁরা কোনও সন্দেহ করেননি। মেধাবী পড়ুয়া ললিত সংসার চালাতে অনেক কাজ করেছেন। কখনও সবজির দোকানে কাজ করেছেন, কখনও টিউশনি পড়িয়েছেন কখনও বা এগরোল-চাউমিনের দোকানেও কাজ করেছেন তিনি। কীভাবে ললিত স্মোক-ক্যান কাণ্ডে জড়িয়ে গেলেন বুঝতে পারছে না তার পরিবার। ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে পরিবারের কারও সঙ্গে ললিতের যোগাযোগ হয়নি।
এদিকে ধৃত সাগর শর্মাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, আরও বড় পরিকল্পনা ছিল তাদের। সংসদের বাইরে তাঁরা সেদিন নিজেদের গায়ে আগুন ধরাতে চেয়েছিল। আর সেই আগুনে যাতে তাদের শরীরে কোনও ক্ষতি না করতে পারে, তাই জন্য তারা অনলাইনের একটি বিশেষ ধরনের জেল সার্চ করে। কিন্তু সেই জেল না পেয়ে তারা গায়ে আগুন ধরানোর পরিকল্পনা বাতিল করে। এছাড়াও সংসদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গুগল সার্চ করে সেদিন সংসদে ঢুকেছিল তারা।