পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : এনকাউন্টার মিথ্যা ছিল! ঘটনার ২৯ বছর পর জানালো পঞ্জাব পুলিশ। পুলিশের হাতে মৃত্যু হয়েছিল সুখপাল সিং নামে এক ব্যক্তির আর পঞ্জাব পুলিশ দাবি করে বসে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে জঙ্গি গুরনাম সিং বান্দালা ওরফে নীলা তারার। এদিকে এই দাবির পর ১৯৯৮ সালে এই বান্দালাকেই জীবিত পাকরাও করে পুলিশ। বিশেষ তদন্ত দল (সিট) পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টকে জানিয়েছে এনকাউন্টারটি যেভাবে করা হয়েছিল, সেই মামলার এফআইআরটি মিথ্যা তথ্যের উপর নথিভুক্ত হয়েছিল। সিটের স্পেশাল ডিজিপি গুরপ্রীত কউর দেও ১৯৯৪ সালের ২৯ জুলাই মামলায় একটি হলফনামার মাধ্যমে এই তথ্য দাখিল করেন। সেই মামলায় রোপারে সুখপাল সিং নিহত হয়েছিল বলে জানানো হয়।
পুলিশ সেই সময় বান্দালাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করলেও পরে সেই জঙ্গিকে জীবিত পাকরাও করা হয়।
হলফনামায় মামলা নথিভুক্ত করার সময় জানানো হয় এনকাউন্টারটি মিথ্যা মামলার ভিত্তিতে সাজানো হয়েছিল। এর পিছনে বেশ কয়েকজন সিট আধিকারিকেরা যুক্ত ছিলেন। সিট বেঞ্চকে জানায় চলতি বছরের ২ ডিসেম্বর রোপারের ইলাকা বিচার বিভাগীয় আদালতে এফআইআর বাতিলের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল।
রোপারের তৎকালীন এসপি (ডি) পরমরাজ সিং উমরনাঙ্গল, জসপাল সিং তৎকালীন ডিএসপি মোরিন্দা এবং এএসআই গুরদেব সিং তৎকালীন ইনচার্জ পুলিশ পোস্ট লুথেরি (বর্তমানে মৃত), আইপিসির অধীনে প্রমাণ জালিয়াতি হয়েছিল বলে হলফনামায় জানানো হয়েছিল। যা এখনও বিচারাধীন।
১৯৯৪ সালে পঞ্জাব পুলিশের দল একটি এনকাউন্টারে গুরনাম সিং বান্দালা নামে একজন ওয়ান্টেড জঙ্গিকে এনকাউন্টারের দাবি করে। কিন্তু ১৯৯৮ সালে তাকে জীবিত পাকরাও করা হয়। এর পর গুরুদাসপুরের কালা আফগানা গ্রামের বান্দালার পরিবারেরই একজন সুখপাল সিং বলে পঞ্জাব পুলিশের কর্মকর্তার হাতে নিহত হয়। এই তথ্য প্রথম সামনে নিয়ে আসেন মানবাধিকার কর্মী কর্নেল জি এস সান্ধু (অবসরপ্রাপ্ত)। তিনি দাবি করেন, ১৯৯৪ সালে যে ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন তার নাম ছিল সুখপাল। সান্ধু ও সুখপালের পরিবারের অভিযোগে ২০০৭ সালে তৎকালীন ডিজি জেপি ভির্দি এই তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০১০ সালে ভির্দির মৃত্যু পর তদন্তে শিথিলতা আসে। সুখপালের বিধবা পত্নী দলবীর কউর এবং বাবা জাগির সিং ২০১৩ সালে সিবিআই তদন্তের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।