পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : হিন্দু জাগরণ বেদিকে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল আর সেই সময় মাইশুরুর এক উর্দু সংবাদপত্রের সাংবাদিককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। মাইশুরু প্যালেসের উত্তর দিকের প্রবেশদ্বারের কাছে থাকা মন্দির ভাঙার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল এই সংগঠন। পাশাপাশি সম্প্রতি এই জেলার নাঞ্জানগুড় তালুকের হুচগানি গ্রামের আদিশক্তি মহাদেবাম্মা মন্দির ভাঙা নিয়েও ছিল তাদের মধ্যে অসন্তোষ। স্থানীয় উর্দু সংবাদপত্র ‘দ্য ডেইলি কওওসর’-এর প্রধান সম্পাদক মহম্মদ সফদর কাইসার বেদিকের সাধারণ সম্পাদক জগদীশ কারনাথের বক্তব্য রেকর্ড করছিলেন। এমন সময় এই সংগঠনের কর্মীরা রেকর্ডিং করায় আপত্তি তোলে। যা রেকর্ড করা হয়েছে তা মুছে দিতে তারা চাপ দেয় কাইসারকে। তারপর ওখানেই তাঁকে হেনস্থা করা হয়। এমনটাই জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে।
অকুস্থলে উপস্থিত পুলিশ দ্রুত গিয়ে আক্রান্ত সাংবাদিককে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। মাইশুরু প্যালেসের সামনের কোটে আনজানিয়া স্বামী মন্দিরে কাছে একটি ঘরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় উন্মত্ত জনতার হাত থেকে বাঁচাতে। মাইশুরুর ডিসিপি (আইন ও শৃঙ্খলা) প্রদীপ গুন্তির কাছে অভিযোগ করেন কাইসার এবং সেখানে হাজির অন্যান্য সাংবাদিকদের সঙ্গেও তিনি কথা বলে পুরো ঘটনাটি জানান। এই শহরের দেবরাজা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন কাইসার। ইতিমধ্যে মাইশুরু জেলা সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের (এমডিজেএ) সভাপতি এস টি রবিকুমার এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেন। হেনস্থাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লেখেন এবং এই ধরনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় সাংবাদিকদের আরও নিরাপত্তার দাবি তোলেন তিনি।
কাইসার জানান,”এই বিক্ষোভ কর্মসূচি কভার করতে আমি সেখানে গিয়েছিলাম এবং অন্যান্য রিপোর্টারদের মতো ভিডিও রেকর্ড করছিলাম। কয়েকজন বিক্ষোভকারী আমার পরিচয়পত্র চায়। আমার কাছেই কেন পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে, আমি জানতে চেয়েছিলাম। তারা কোনও কথাতে কান না দিয়ে আমাকে আক্রমণ করতে শুরু করে। আমি হতচকিত যে, কোনও কারণ ছাড়াই তারা আমাকে হেনস্থা করতে শুরু করল।”