পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২০০৪ সালে তাকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে কি না এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে মেয়ে শর্মিষ্ঠাকে কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, না, উনি আমাকে প্রধানমন্ত্রী করবেন না। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি সম্পর্কে এ কথা মেয়েকে বললেও সোনিয়া সম্পর্কে কখনও তিক্ততা পোষণ করেননি প্রণব। নিজের বই ‘প্রণব, মাই ফাদার: আ ডটার রিমেমবারস’-এ এমনই সব অজানা কথা খোলসা করেছেন শর্মিষ্ঠা।
রাহুল গান্ধি সম্পর্কেও তিনি নানা কথা বলেছেন কন্যাকে। রাহুল খুবই বিনীত, অনেক প্রশ্ন তার মনে। যা রাজনৈতিক নেতা হওয়ার পক্ষে প্রয়োজন বলে মনে করতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তবে তাকে যে রাজনৈতিক ভাবে পরিণত হতে হবে, তা-ও বুঝেছিলেন তিনি। বহু বারই প্রণববাবুর বাসভবনে গিয়ে কথাবার্তা বলেছেন রাহুল। প্রণব রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন একবার বাসভবনে দেখা করতে সকাল ছটার সময় হাজির হয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। প্রণব তার কন্যাকে এ বিষয়ে হাসতে হাসতে বলেন, ওর দেখা করার সময় ছিল সন্ধ্যা ছটায়। কিন্তু ওর অফিসের কেউ ওকে সকালে পাঠিয়ে দিয়েছে, এএম ও পিএম-এর পার্থক্য বুঝতে পারেনি। তাহলে ওরা পিএমও চালাবে কী করে!
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন, বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ আছে রাহুলের। তবে খুব দ্রুত এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে চলে যান। ফলে বুঝতে পারি না, কোন বিষয়ে তিনি মন দিয়ে শুনলেন আর কতটাই বা উপলব্ধি করলেন। সোনিয়া গান্ধিকে পরিশ্রমী, বুদ্ধিমতী বলে মনে করতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি ডায়েরিতে লিখেছেন, সোনিয়ার শেখার আগ্রহ ছিল প্রবল। তার সবথেকে বড় গুণ, তিনি নিজের দুর্বলতা বুঝতেন এবং তা অতিক্রম করার জন্য পরিশ্রম করতেন। রাজনৈতিক ভাবে তিনি পরিণত ছিলেন না কিন্তু ভারতীয় রাজনীতির জটিলতা বুঝতে তিনি পরিশ্রম করেছেন। প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় বাবার ডায়েরির ভিত্তিতে যে স্মৃতিচারণমূলক বই লিখেছেন, তাতে রয়েছে এই অংশ।