পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মেয়েরা ‘ঘাড়ের বোঝা’ এখনও এমনটাই ভাবে বহু পরিবার। বললেন শিশু চিকিৎসক ডা. ঊষা বি কে। তাঁর মতে, এখনও যখন শিশুর জন্মের পর আমরা বাইরে বেরিয়ে জানায়, শিশুপুত্রের জন্ম হয়েছে, তখন আনন্দে লাফিয়ে ওঠে গোটা পরিবার। শিশুকন্যার ক্ষেত্রে সেটা হয় না। কারণ এখনও মেয়েদের বোঝা মনে করা হয়। বেশিরভাগ পরিবারের ভাবনা, ছেলেরা বিয়ের পরও পরিবারের লোকজনের দায়িত্ব নেবে, মেয়েরা বিয়ের পর পরিবারের কাজে লাগবে না।
ডা. ঊষা বি কে এসব কথা যখন বলছেন, তখন একটি বিশেষ চক্রের খবর পাওয়া গেছে বেঙ্গালুরুতে। কন্যা ভ্রুণ হত্যার চক্র। জানা গেছে গত ২ বছরে কর্নাটকে ৯০০ কন্যা ভ্রুণ হত্যা করা হয়েছে।
চিকিৎসকদের একটি দল কর্নাটকের মান্ডিয়াতে একটি আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানিং কেন্দ্র গড়ে তুলে এই অপরাধ করেছে। ১৯৯৪ সাল থেকেই দেশে ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে, এখনও অনেকেই এইসব আইন–কানুনের তোয়াক্কা করছে না।
ইন্ডিয়ান রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং অ্যাসোসিয়েশনের কর্নাটক চ্যাপ্টারের সেক্রেটারি ডা. রবি এন জানিয়েছেন, শুধুমাত্র আর্থিক লাভের জন্যেই অনেক চিকিৎসক এইসব অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে।এমন বেশ কিছু সংস্থা গজিয়ে উঠছে, যারা অবৈধভাবে লিঙ্গ নির্ধারণের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করা মুশকিল হচ্ছে। গ্রাম্য এলাকতেও এসব ঘটনা ব্যাপকভাবে ঘটছে।
১২–১৫ সপ্তাহে শিশুর লিঙ্গ ধরা পড়ে। আর ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত নিয়ম মেনে গর্ভপাতের অনুমতি মেলে। এই সময়ে অনেকেই লিঙ্গ নির্ধারণ করিয়ে ভ্রুণ হত্যা করছে বলে খবর।