পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি নাও চায় তারপরও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত স্পেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এ কথা বলেছেন। গাজার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সানচেজ বলেন, ‘আমি মনে করি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সদস্য দেশগুলোর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তত কয়েকটি সদস্যরাষ্ট্র একসঙ্গে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে। যদি সেটি না হয় তাহলে স্পেন একাই তার সিদ্ধান্ত নেবে।’
সম্প্রতি স্পেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন সানচেজ। নির্বাচনের আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, নির্বাচনে জিতলে তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবেন। রাফাহ সীমান্তে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রুও। আলেকজান্ডারের সঙ্গে সানচেজ ইসরাইল, ফিলিস্তিন ও মিশর সফর করেন। সফরের সময় উভয় নেতাই গাজার অসামরিক জনগণের সুরক্ষা এবং ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান করার আহ্বান জানান। তবে স্পেন ও বেলজিয়ামের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসরাইল।
ইসরাইলি বিদেশমন্ত্রী এলি কোহেন বলেন, ‘আমরা স্পেন এবং বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রীদের মিথ্যা দাবির নিন্দা জানাই যারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিচ্ছেন।’ তার দাবি, ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন মানছে। এদিকে ফিলিস্তিনি জনগণের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ইসরাইলও কখনও নিরাপদ হবে না বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধের ফলে হতাহতের সংখ্যা খুব বেশি। তিনি ইসরাইলি নেতাদের আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানান।
শুক্রবার থেকে হামাস ও ইসরাইলের চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে হামাস ২৫ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। আর ইসরাইল মুক্তি দিয়েছে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে। এছাড়া গাজায় ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাক প্রবেশ করেছে।