পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তিনটি ফৌজদারি আইনের হিন্দি নামকরণ অসাংবিধানিক কিছু নয়। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে একটি সংসদীয় প্যানেল। একইসঙ্গে তারা এই হিন্দি নামকরণের বিরোধকারী কিছু রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতাদের আপত্তিকেও কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপি সাংসদ ব্রিজলালের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সংবিধানের ৩৪৮ অনুচ্ছেদের বক্তব্যগুলি তুলে ধরে।
সেখানে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে যে ভাষা ব্যবহার হবে, আইন, বিল ও অন্যান্য আইনি নথি প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে ভাষা ব্যবহার করা হবে তা অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় হতে হবে। কমিটির যুক্তি, পেনালকোড (দণ্ডবিধি) তুলে দিয়ে সেখানে সংহিতা শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হলেও তার টেক্সট যেহেতু ইংরেজিতে তাই বিষয়টি সংবিধানের ৩৪৮ ধারাকে লঙ্ঘন করছে না। কমিটি জানায় তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিক্রিয়ায় সন্তুষ্ট। রাজ্যসভায় পেশ করা রিপোর্টেও এমনটা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্যানেল।
উল্লেখ্য, ১১ আগস্ট লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল—ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস-২০২৩), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস-২০২৩) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিকার (বিএসএ-২০২৩)। প্রস্তাবিত আইনগুলি যথাক্রমে ভারতীয় দণ্ডবিধি-১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি আইন-১৮৯৮ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন-১৮৭২’-এর জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যদিও এই হিন্দি নামকরণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়েছিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম।
চিদম্বরমের কথায়, ‘আমি বলছি না যে হিন্দি নাম দেওয়া উচিত নয় (বিলে)। যখন ইংরেজিতে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে, তখন এটির ইংরেজি নাম দেওয়া যেতে পারে। আর হিন্দিতে বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে তার হিন্দি নামকরণ করা যেতে পারে। যখন আইনের খসড়া তৈরি করা হয় তখন তা ইংরেজিতে করা হয়। পরে সেটিকে হিন্দিতে অনুবাদ করা হয়। কিন্তু, কেন্দ্র এক্ষেত্রে আইনের খসড়া তৈরি করেছে ইংরেজিতে। আর এটির হিন্দি নাম দিয়েছে। এমনকি এর উচ্চারণ করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকেও প্রস্তাবিত ফৌজদারি আইনের হিন্দি নামকরণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন বলেছিলেন, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ ভাষাগত সাম্রাজ্যবাদের অনুপ্রবেশ।