পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তিন প্রস্তাবিত ফৌজদারি আইনের দেওয়া হিন্দি নামগুলি অসাংবিধানিক নয়। কিছু রাজনৈতিক দল এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধের নিন্দার সঙ্গে জানিয়েছিল আপত্তি। মঙ্গলবার তা খারিজ হয়ে যায়। এদিন কেন্দ্রের আনা নতুন তিন ফৌজদারি আইন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের নামে ছাড়পত্র দিয়ে দিল স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটি। বিজেপি সাংসদ ব্রিজলালের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি জানিয়ে দিল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে নতুন তিন আইন তৈরি করেছে সেই তিন আইনের নাম হিন্দিতে হলেও সেটা লেখা হবে ইংরাজি হরফে। তাই এই নামগুলি অসাংবিধানিক নয়।
ব্রিজলাল এক্ষেত্রে সংবিধানের ৩৪৮ অনুচ্ছেদে ব্যবহৃত শব্দটির উল্লেখ করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, আইন, বিল এবং অন্যান্য আইনি নথিতে যে ভাষা ব্যবহার করা হবে তা অবশ্যই ইংরেজিতে হতে হবে।কেন্দ্র এই আইনগুলির যে হিন্দি নাম দিতে চলেছে, সেটা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিরোধীরা। কংগ্রেস এবং ডিএমকে একযোগে প্রশ্ন তুলেছিল, সংবিধানের ৩৪৮ ধারায় বলা আছে আদালতের কাজে বা আইনের ক্ষেত্রে ভাষা হিসাবে ইংরাজি ব্যবহার করতে হবে। তাহলে এই নতুন আইনগুলিতে হিন্দি নাম ব্যবহার করা হচ্ছে কেন?
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম কেন্দ্রীয় সরকারের বিলগুলিতে হিন্দি নাম দেওয়ার পিছনে যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেছেন, “আমি বলছি না যে বিলে হিন্দি নাম দেওয়া উচিত নয় । যখন ইংরেজি ব্যবহার করা হয়, তখন এটির একটি ইংরেজি নাম দেওয়া যেতে পারে। হিন্দি ব্যবহার করা হলে, এটির একটি হিন্দি নাম দেওয়া যেতে পারে। যখন আইনের খসড়া তৈরি করা হয়, তখন এটি করা হয়েই থাকে। প্রথমে ইংরেজিতে এবং পরে এটি হিন্দিতে অনুবাদ করা হয়। কিন্তু ওরা বিলের আইন ও বিধান ইংরেজিতে তৈরি করে পরে তার হিন্দি নাম দিয়েছে। সে সব নাম উচ্চারণ করাও কঠিন।”