পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র মালদ্বীপের অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন মুহম্মদ মুইজ্জু। রাজধানী মালেতে আয়োজিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু দেশের নেতা-মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হলেও শপথ গ্রহণে যাননি প্রধানমন্ত্রী। ভারতের তরফে পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরন রিজিজু।
প্রসঙ্গত, নির্বাচিত হয়েই মুইজ্জু জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় সেনাকে মালদ্বীপ ছাড়তে হবে। কেননা স্বাধীন দেশ হয়ে উঠতে চান তাঁরা। অবশ্য, মুইজ্জুর নির্বাচনী সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিল ভারত বিরোধিতা। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে দেশ থেকে সরানো হবে ভারতীয় সেনাকে। সম্প্রতি অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনার বিকল্প হিসেবে দেশে চিনের সেনাকেও চান না তাঁরা।
এই অবস্থায় মুইজ্জুর শপথ অনুষ্ঠানে নিজে না গিয়ে রাজনৈতিক ভাবে অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে পাঠিয়েছেন মোদী। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, নয়াদিল্লি গোড়াতেই মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টকে একপ্রকার কড়া বার্তা দিল। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, মুহম্মদ মুইজ্জুকে শপথ বাক্য পাঠ করান দেশটির প্রধান বিচারপতি আহমেদ মুথাসিম আদনান। শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু শপথপত্রে স্বাক্ষর করেন এবং প্রধান বিচারপতি ও মজলিসের স্পিকারও সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ যোদ দেন। এই অনু্ষ্ঠানে মোট ৪৬টি দেশের প্রধান, বিদেশমন্ত্রী বা বিশেষ দূত উপস্থিত ছিলেন।