পুবের কলম প্রতিবেদক: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা মিধিলি নামের ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে চলেছে। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দূরে উত্তর-পূর্ব দিকে অর্থাৎ দীঘা উপকূল হয়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড় মিধিলির গতিবিধি প্রসঙ্গে আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা অর্থাৎ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, ছাড়াও হাওড়া, হুগলী এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায় আজ শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী আগামী ২১ শে নভেম্বর নাগাদও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়।
মিধিলি ঘূর্ণিঝড়ের জেরে দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শস্যক্ষেত্রের ফসল রক্ষার জন্য বিশেষ পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যের কৃষি দফতর। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতির হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য কয়েকটি পরামর্শও দেওয়া হয়েছে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকের। মাঠের পাকা আমন ধান আমন ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার কথা বলা হয়েছে। দ্রুত ধান কাটার জন্য কম্বাইন্ড প্যাডি হারভেস্টার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে জেলায় স্থাপিত কৃষি যন্ত্র ভাড়া কেন্দ্রের সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন রাজ্যের কৃষকেরা। বিভিন্ন এলাকার আলু চাষীদের জন্য পরামর্শে বলা হয়েছে, জমিতে আলু বসানোর জন্য সপ্তাহ খানেক অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।
এমনকী আর্থিক ক্ষতি এড়াতে এই মুহূর্তে সার বা কীটনাশক প্রয়োগ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ সার ও কীটনাশক বৃষ্টিতে ধুয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যে সকল সবজি মাঠে পরিপক্ক অবস্থায় আছে দ্রুত তুলে ফেলার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতি এড়াতে সবজির মাচা ও পানের বরজ মেরামত করার আহ্বান জানানো হয়েছে রাজ্য কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে।
নিম্নচাপটি এখন অবস্থান করছে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে ৪১০ কিলোমিটার দূরে। ঐ ঘূর্ণিঝড়ের নাম মিধিলি। মলদ্বীপ এই নাম দিয়েছে। আগামী ১৮ নভেম্বর সকালে ভূমিতে আছড়ে পড়বে। সরাসরি এ রাজ্যের উপর দিয়ে অতিক্রম করছে না। ফলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ অভিমুখে খেপুপাড়া ও মংলার দিকে তা চলে যাবে। ৭০কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ।