‘নারীরা পুরুষদের মতোই সমান হারে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবেন, তবে ছাত্র ছাত্রীর পাশাপাশি বসে ক্লাস করার সুযোগ থাকবে না।’ তালিবান শিক্ষামন্ত্রক
পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর মহিলাদের স্বাধীনতা ও শিক্ষা ইস্যুতে পশ্চিমা মিডিয়ার প্রশ্নবাণে জর্জরিত তালিবান। মহিলারা কী পুরুষদের মতোই স্কুল– কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পাবেন? নাকি তাদের ঘরবন্দি হয়েই থাকতে হবে? এসব প্রশ্ন ও সমালোচনার যথার্থ উত্তর দিয়েছে তালিবানের নয়া সরকার। আফগানিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছে তারা। তবে তারা এটাও জানিয়েছে যে, নাগরিকদের শিক্ষার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হবে না। পুরুষনারী নির্বিশেষে সকলেই সব স্তরে শিক্ষার সুযোগ পাবে। আগেরমতোই মহিলারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবেন। তবে তালিবানের শর্ত একটাই। মানতে হবে ইসলামি শরিয়াহ আইন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা একসঙ্গে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পেলেও শরিয়াহ অনুযায়ী তাদের জন্য পৃথক ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে। অথবা একই ক্লাসকে পর্দা দিয়ে ভাগ করেও চালানো যেতে পারে। স্কুলবিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের হিজাব পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে তালিবান। তারা জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের বই পড়ানো হবে। তালিবান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী আধুল বাকি হাক্কানি বলেন, ‘নারীরা পুরুষদের মতোই সমান হারে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবেন, তবে ছাত্র ছাত্রীর পাশাপাশি বসে ক্লাস করার সুযোগ থাকবে না।’ শিক্ষার্থীদের নতুন কোর্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার বিষয়বস্তু ও কোর্স নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। শিক্ষামন্ত্রী হাক্কানির কথায়, ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বাজারে আমাদের শিক্ষার্থীদের সেরা বানানো হবে।’