পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: টানা তিন সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত চলছে। আর এই সংঘাতের শুরু থেকেই অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। বারংবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হলেও তাতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন করে হুঁশিয়ারি দিল ইরান। দেশটি বলেছে, গাজায় যুদ্ধ চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেও এই আগুন থেকে রেহাই পাবে না। গাজায় গণহত্যা চলছে বলেও মন্তব্য করেছে দেশটি। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান। তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলা বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেও ‘এই আগুন থেকে রেহাই পাবে না’। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রনায়করা যারা এখন ফিলিস্তিনে গণহত্যা পরিচালনা করছে, তাদের আমি অকপটে বলছি, আমরা এই অঞ্চলে যুদ্ধের সম্প্রসারণকে স্বাগত জানাই না। কিন্তু গাজায় গণহত্যা চলতে থাকলে, তারাও এই আগুন থেকে রেহাই পাবে না।’
প্রসঙ্গত, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা তুফান’ নামে একটি অভিযান চালায় গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের এই অভিযানে কার্যত হতবাক হয়ে পড়ে ইসরাইল। প্রায় ২০০ মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। হামাসের হাতে আটক বিপুল এসব বন্দির মধ্যে ইসরাইলি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিকও রয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিজেও গাজায় আটক সব বন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন। এ বিষয়ে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লাহিয়ান বলেন, হামাস ইরানকে বলেছে- তারা অসামরিক বন্দিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তবে তার আগে ইসরাইলি কারাগারে থাকা ৬ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে।