পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজো উপলক্ষে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা বলেন, এই পুজো শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, এটি এখন সর্বজনীন উৎসব। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবহমান কাল ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’―এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশে আমরা সব ধর্মীয় উৎসব একসঙ্গে পালন করি। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সকলে মিলে মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি।
এই দেশ আমাদের সকলের। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী-নির্বিশেষে সবার উন্নয়ন করে যাচ্ছে।
সব ধর্মের মানুষ সমভাবে উন্নয়নের সুফল উপভোগ করছে।
তিনি আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
জানা যাচ্ছে যে এ বছর বাংলাদেশে ৩২ হাজার ৪০৮ মণ্ডপে আয়োজিত হয়েছে দুর্গাপুজো। গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ৩২ হাজার ১৬৮টি। এ বছর ঢাকা মহানগরীতে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে ২৪৫টি মন্দিরে, গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ২৪২টি।
বাংলাদেশের রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, হিন্দুপাড়া এজিবি কলোনির অরুণিমা সংসদ পূজা কমিটিসহ বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে। ঢাকেশ্বরী আর রামকৃষ্ণ মিশনের পুজো আয়োজন ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দুর্গোৎসবের ব্যাপক আয়োজন চলছে। পুরনো ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপরই তৈরি করা হচ্ছে মণ্ডপ। গত বছরের হিংসার কথা মাথায় রেখে এবছর কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।