মোকতার হোসেন মণ্ডল: জামাত-ই-ইসলামি হিন্দ গাজার আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে ইসরাইলের হামলার নিন্দা করেছে। উল্লেখ্য, এই হাসপাতালে হওয়া হামলায় প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। হাসপাতালটি ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবির তত্ত্বাবধানে প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টান মিশনারিদের দ্বারা পরিচালিত হয়।
সংবামাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে, জামাত-ই-ইসলামি হিন্দের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি বলেন,“আমরা মধ্য গাজার আল-আহলি হাসপাতালের জঘন্য বোমা হামলার নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করছি। প্রায় ১০০০ জন মহিলা ও শিশু হাসপাতালের আশেপাশে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।”
জামায়াত ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে রোগী ও অন্যদের হত্যাকে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে অভিহিত করেছে।
জামায়াত নেতা বলেন,“ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী সব যুদ্ধ আইন ও মৌলিক মানবিক মূল্যবোধের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে ক্রমাগত স্কুল ও হাসপাতালগুলোকে টার্গেট করছে। নীরব দর্শক হয়ে থাকা শক্তিশালী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই জঘন্য যুদ্ধাপরাধ থেকে নিজেদেরকে রেহাই দিতে পারে না। তাদের হাতে ফিলিস্তিনের নিরপরাধ পুরুষ, নারী ও শিশুদের রক্ত লেগে আছে”।
সাদাতুল্লাহ হুসাইনি বলেন,“ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড শাস্তির বাইরে যাওয়া উচিত নয় এবং সাম্প্রতিক অংশে তারা যে বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধ করেছে তার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। আমরা যদি ফিলিস্তিনিদের সমর্থন না করি এবং বর্তমান হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না করি, ইতিহাস আমাদের কখনই ক্ষমা করবে না”।