পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বিশ্ববাসীকে রোগমুক্ত এক পৃথিবী উপহার দিতে চান মার্ক জুকারবার্গ। পৃথিবী থেকে সমস্ত রকম জটিল অসুখের অবলুপ্তি ঘটাতে চান তিনি। এই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছেন ফেসবুক কর্তা ও তাঁর স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান। ২,১০০ সালের মধ্যে ‘রোগমুক্ত পৃথিবী’ গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে জুকারবার্গের সংস্থা চ্যান জুকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেবেন বলে জানিয়েছেন জুকারবার্গ। জুকারবার্গদের সংস্থা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি কম্পিউটিং সিস্টেম গড়ে তুলতে চান তারা। যা পরিচালনা করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স। গবেষকরা সেই সিস্টেমের মাধ্যমে এআই ব্যবহার করে মানবদেহের কোষ বিশ্লেষণ করতে পারবেন। মানবশরীরের ঠিক কোন কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, সেই কোষ পুনরুজ্জীবিত করার উপায় কী, সেসবই খুঁজে বের করবে এআই। সেই তথ্যের মাধ্যমেই সম্ভব হবে যুগান্তকারী আবিস্কার। জিনের বিন্যাস বের করে জটিল অসুখ সারানোর উপায় খুঁজবে এআই পরিচালিত কম্পিউটিং সিস্টেম। জুকারবার্গ বলছেন, ‘চিকিৎসাশাস্ত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে এআই। বিশেষ করে বায়োমেডিসিনের দুনিয়ায় একের পর এক চমৎকার করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। একে ব্যবহার করে উচ্চমানের একটি কম্পিউটিং সিস্টেম তৈরি করতে পারলে তা আগামীদিনে চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন মাইলফলক হয়ে উঠবে। আমাদের দেহের কোষ কীভাবে কাজ করে, তা নির্ণয় করা যাবে ওই যন্ত্রের মাধ্যমে। জিনোম থেকে সমস্ত কোষের ধরন এবং কোষের অবস্থা সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে পারবে ওই ডিজিটাল মডেল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ড্রাগ মডিউলের এমন ডেটাবেস তৈরি হবে যেখান থেকে জটিল রোগ সারানোর ওষুধ তৈরি করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। আর এমন ওষুধ তৈরি হবে যার এক ডোজেই শরীরের যাবতীয় অসুখ ভালো হয়ে যাবে।’ মেটা কর্তা বলছেন, কোনও নতুন ওষুধে রোগীর দেহে কী প্রতিক্রিয়া হবে, এআইয়ের মাধ্যমে আগে থেকেই তা জানা যাবে। অসুখ যতই বিরল হোক না কেন, তার চিকিৎসা পদ্ধতিও বের করা যাবে এই সিস্টেমে। এমনভাবেই আরও কয়েক বছরের মধ্যেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতি হবে বলে মনে করছেন জুকারবার্গ।