পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক : ইউরোপের কয়েকটি দেশে কুরআন অবমাননা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের তীব্র সমালোচনা করল মিশরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক সেন্টার। নেদারল্যান্ডস, সুইডেন ও ডেনমার্কে অবস্থিত মুসলিম দেশগুলির দূতাবাসের বাইরে কুরআন অবমাননার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি প্রতিষ্ঠানটি। এক বিবৃতিকে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘এ ধরনের ঘটনা ইসলাম ও তার পবিত্র স্থানগুলির ওপর হামলা।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বছরের এমন সময়ে কুরআন অবমাননা চলছে যে সময়ে নবী সা.র জন্মদিন উদযাপন করে থাকে মুসলিম বিশ্ব। এটি ইসলামোফোবিয়া ও মুসলিম-বিদ্বেষ উসকে দেওয়া প্রচেষ্টা ব্যতীত কিছুই না। আল-আযহার কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, ‘শান্তি ও সহাবস্থানের প্রচার ও প্রসার নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয় পশ্চিমা সরকারগুলি।’ ইউরোপীয় দেশগুলির সরকারের সমালোনায় আল-আযহার বলে, তারা ঘৃণা ও বিভাজন উসকে দিয়ে সংলাপ ও সংহতির ‘ভণ্ড’ আহ্বান জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, ’আল-আযহার সমস্ত পশ্চিমা বিশ্বের সরকার, জনগণ ও বিশ্বের কাছে ইসলামকে গভীরভাবে অধ্যয়নের আহ্বান জানায়।’ এরই পাশাপাশি আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সব মানুষকে নবী সা.র দেখানো পথে হাঁটার ডাক দিয়েছে। আল-আযহার বলেছে, ‘যদি উগ্রপন্থীরা কুরআনের শিক্ষা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানত তাহলে তারা তা অবমাননা করতে বা জ্বালিয়ে দিতে লজ্জা পেত অথবা শঙ্কা বোধ করত।’ রবিবারই নেদারল্যান্ডসের উগ্র ডানপন্থী দলের সদস্যরা হেগ শহরে তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের দূতাবাসের বাইরে পবিত্র কুরআনে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিবারের মতো এবারও এই ঘটনায় নীরব ছিল ডাচ সরকার। সোমবার কুরআন অবমাননার পুনরাবৃত্তির তীব্র নিন্দা জানিয়ে মিশরের বিদেশমন্ত্রক বলে,’এ ধরনের কাজ উসকানিমূলক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন যা মুসলমানদের আবেগে আঘাত করে ও ঘৃণা বক্তব্য প্রচার করে।’