পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্তবর্তী নাগোরনো-কারাবাখ রেঞ্জ ছাড়তে শুরু করেছে হাজার হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ান। অঞ্চলটিতে আজারবাইজান সামরিক অভিযান চালানোর ২৪ ঘণ্টার মাথায় রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ফলে অঞ্চলটি আজারবাইজানের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে এলাকা ছাড়ছে আর্মেনীয়রা। অঞ্চলটিতে যুগ যুগ ধরে বসবাসরত জাতিগত আর্মেনীয়রা পালিয়ে আর্মেনিয়ার মূল ভূখণ্ডে ঢুকছে। এই পরিস্থিতিতে আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তবে বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি আঙ্কারা। দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে দুটি যুদ্ধ হয়েছে। প্রথম যুদ্ধ হয় ১৯৯০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর। এরপর ২০২০ সালে আবার যুদ্ধে লিপ্ত হয় দেশ দুটি। গত বছর ডিসেম্বর থেকে আজারবাইজান আর্মেনিয়া থেকে কারাবাখ যাওয়ার একমাত্র পথ অবরোধ করে দিলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। গত মঙ্গলবার নাগোরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের সেনা অভিযানের ২৪ ঘণ্টার মাথায় আত্মসমর্পণ করে আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। চুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র জমা দেওয়া শুরু করে তারা। সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত নাগোরনো-কারাবাখ ছেড়ে প্রায় ৩ হাজার মানুষ আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে। আর্মেনীয় সরকার বলছে, তারা হাজার হাজার শরণার্থীর চাপ নিতে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। উল্লেখ্য, নাগারনো-কারাবাখ পার্বত্য অঞ্চলের একটি অংশকে আর্মেনিয়া নিজেদের বলে দাবি করলেও এটি আসলে আজারবাইজানেরই অংশ যা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতও।