পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল ফিলিস্তিনিরা। ইসরাইলি কারাগার থেকে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দির পালানোর পর ফিলিস্তিনিরা আনন্দে মেতে ওঠে। উচ্ছ্বাসে মিছিল করে তারা। বৃহস্পতিবার রাতে ফিলিস্তিনিদের মিছিল ও সমাবেশে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী আক্রমণ করে। ঠিক তখনই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে সংঘর্ষের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হয় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি। সোমবার উত্তর ইসরাইলের উচ্চ নিরাপত্তাযুক্ত গিলবোয়া কারাগার থেকে সুড়ঙ্গপথে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দি পালিয়ে যান।
ইসরাইলি কারাগারের সূত্রের খবর, ওই বন্দিরা তাদের সেলের টয়লেটের ফ্লোরে খুঁজে পাওয়া এক সুড়ঙ্গপথে পালায়। ২০০৪ সালে কারাগারটি নির্মাণের সময় ওই সেলের টয়লেট পর্যন্ত এই সুড়ঙ্গ করা হয়েছিল।
গিলবোয়া কারাগার থেকে ছয় বন্দীর পালানোর ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে উল্লেখ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। এরপরেই ধরপাকড় শুরু হয়। ছয় বন্দির ছয় জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রসঙ্গত বন্দি পালানোর এই ঘটনার পরেই ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ওমের বারলেভ বলেন, অত্যন্ত নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে কারাগার থেকে পালিয়েছে বন্দিরা। এটা একটা অনেক বড় ঘটনা। আবার ইসরাইলের পুলিশ কর্মকর্তা এভি বিতুন বলেন, ঘটনার পর গোটা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারণ এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে। আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে ফিলিস্তিনি বন্দিরা। অনেকেই বলছেন, পালানোর ক্ষেত্রে ৬ ফিলিস্তিনি বন্দি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এতে বোঝা যায়, ইসরাইলের কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনেক ঘাটতি রয়েছে। এমনকী ফিলিস্তিনি বন্দিরা পালানোর কয়েক ঘণ্টা পরও বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেনি জেল কর্তৃপক্ষ। উত্তরাঞ্চলীয় গিলবোয়া কারাগারে ছিলেন ওই ৬ ফিলিস্তিনি। রবিবার রাত ৩টার দিকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে কারাগার থেকে পালায় বন্দিরা। এদের মধ্যে ৫ জন ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের সদস্য এবং একজন ফাতাহ আন্দোলনের শহিদ ব্রিগেডের সদস্য। এরপরেই পশ্চিম তীরের পরিস্থিতিতে ইসরাইলি পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকার আদেশ জারি করেছে।