পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফিলিপাইন্সে মুসলিমদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আইনি সুবিধা দিতে চলেছে দেশটির সরকার। এ লক্ষ্যে সেখানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শরিয়াহ আদালত পরিচালনার প্রক্রিয়া চলছে। ফিলিপাইন্সের আইনসভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবিত এ বিষয়ক একটি বিল পাস হয়। তবে আইন হিসেবে পাস হওয়ার জন্য প্রস্তাবিত বিলটিকে ফিলিপাইন্সের সিনেট থেকেও অনুমোদন পেতে হবে। আইন পাস হলে শরিয়া মতে পরিচালিত আদালতের পরিষেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাবেন মুসলিমরা। এর ফলে মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সহজ হবে বলে আশা করছে দেশটির বিভিন্ন ইসলামি সংস্থা। তারা বলছে, যেসব অঞ্চলে সরাসরি কোনও শরিয়াহ আদালত নেই সেখানকার মুসলিমদের এই আইনটি ব্যাপক সুবিধা এনে দেবে। শরিয়াহ আদালতের ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিপাইন্সের মুসলিম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থা ‘দ্য ন্যাশনাল কমিশন অব মুসলিম ফিলিপিনো’ (এনসিএমএফ)। শরিয়াহ আদালতের ইতিবাচক উন্নয়নকে সাধুবাদ জানিয়ে সংস্থার মুখপাত্র ইউসুফ মানদো বলেন, ‘নতুন এই বিল পাসের মাধ্যমে ডিজিটালি শরিয়াহ আদালত পরিষেবার যে প্রক্রিয়া শুরু হবে, তাতে যেসব এলাকায় সরাসরি শরিয়া আদালত নেই, সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন এর মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সুবিধা পাবে। বলা যায়, এটি সবার জন্য ন্যায়বিচারের সমান সুযোগ তৈরি করবে। এনসিএমএফ আরও জানায়, তারা নিজস্ব আইনবিষয়ক ব্যুরোর মাধ্যমে বিয়ে, জন্ম ও মৃত্যু সনদসহ মুসলিমদের প্রয়োজনীয় নথিপত্রের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সমন্বয়েই এটি তৈরি করা হবে। ভার্চ্যুয়াল শরিয়া আদালতে এটি ব্যবহার করা হবে। মানডো বলেন, ‘আমরা ফিলিপাইন্স কংগ্রেসকে, বিশেষ করে যারা বিলটি কংগ্রেসে উত্থাপন করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। এই বিলটি উত্থাপনের মাধ্যমে তারা দেশের মুসলিম অধিকার সুরক্ষায় সহায়তা করেছেন। এখন আমরা আশা করছি, বিলটি সিনেটেও পাস হবে এবং আইন হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করবে।’ উল্লেখ্য, ফিলিপাইন্সে মোট জনসংখ্যা প্রায় ১০ কোটিরও বেশি। এর মধ্যে ছয় শতাংশের বেশি মুসলিম জনগোষ্ঠী। তাদের অধিকাংশই দেশটির দক্ষিণে মিন্দানাও ও সুলু দ্বীপপুঞ্জ এবং মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় পালাওয়ান প্রদেশে বাস করে।