পুবের কলম প্রতিবেদক: আইফোনের সঙ্গে জুড়ছে ইসরোর নিজস্ব প্রযুক্তি। সম্প্রতি বাজারে আসতে চলেছে অ্যাপলের বেশ কয়েকটি স্মার্টফোন। নতুন ‘আইফোন-১৫ প্রো’ এবং ‘আইফোন-১৫ প্রো ম্যাক্স’ স্মার্টফোনে ইসরোর তৈরি নিজস্ব নেভিগেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। জিপিএস-এর বিকল্প হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে ভারতের নেভিগেশন সিস্টেম। অতীতে আইফোন জিপিএস, গ্লোনাস এবং গ্যালিলিও-এর মতো গ্লোবাল নেভিগেশন সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল ছিল। এই প্রথম অ্যাপল তাঁদের স্মাটফোনে ভারতের নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করছে। ফলে অবস্থান ট্র্যাকিং ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে ভারতের মধ্যে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও, ‘আইফোন-১৫’ এবং ‘আইফোন-১৫ প্লাস’ মডেলগুলিতে এনএভিআইসি সুবিধা থাকছে না।
ইসরোর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের নেভিগেশন সিস্টেম সমগ্র ভারত এবং আশেপাশের অঞ্চল কভার করতে সক্ষম। এই সিস্টেমে ছয়টি শক্তিশালী স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়েছে। এনএভিআইসি সিস্টেমটি পরিবহন, অবস্থান, ব্যক্তিগত গতিশীলতা, সংস্থান পর্যবেক্ষণ, জরিপ, জিওডিসি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সিঙ্ক্রোনাইজেশন এবং জীবনের নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করবে।
ইসরোর এনএভিআইসি সিস্টেম ঠিক কি?
এনএভিআইসি হল ‘ভারতীয় নক্ষত্রপুঞ্জ নেভিগেশন’। জিপিএস-এর বিকল্প হিসেবে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন ২০১৮ সালে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করে এনএভিআইসি সিস্টেম। এটি জিপিএস-এর থেকে অনেকটাই উন্নত। এনএভিআইসি ২০ মিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে নির্ভুলতার সঙ্গে অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও স্পষ্ট ট্র্যাকিং অবস্থান প্রদান করতে পারে। অধিকাংশ স্মাটফোনে নেভিগেশন প্রযুক্তি হিসেবে ইউএস গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বিদেশি জিপিএস-এর তুলনায় ভারতের নেভিগেশন বহুলাংশে উন্নত বলেই দাবি।
চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এবং রাশিয়ার মত দেশগুলি তাঁদের নিজস্ব বৈশ্বিক নেভিগেশন সিস্টেম তৈরি করেছে। জিপিএস-এর বিকল্প হিসেবে এই দেশগুলি নিজস্ব সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে। এবার সেই তালিকায় শামিল হচ্ছে ভারত। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্যামসাং, শাওমি এবং অ্যাপল সহ বড় বড় স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থাগুলিকে ভারতের নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে।