পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আগামী ১০ ডিসেম্বর হবে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা। পরীক্ষা হবে বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ড. গৌতম পাল। এ দিন তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর টেট, এই পরীক্ষার জন্য বুধবার রাতেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কারা এ বছর টেট দিতে পারবেন, কারা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, সাংবাদিক বৈঠকে তাও জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।
গতবছর টেট পরীক্ষা হয়েছিল ১১ ডিসেম্বর। পাঁচ বছর পর ওই পরীক্ষা হয়েছিল। তখনই পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছিলেন, প্রতি বছর নিয়ম করে টেট হবে। সেইমতো এ বছরও ডিসেম্বরে টেটের আয়োজন করছে পর্ষদ। এ দিন পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে পর্ষদের ওয়েবসাইটে গিয়ে টেটের ফর্ম পূরণ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বিএড যাঁরা করেছেন, তাঁরা এ বছর প্রাথমিকের টেটে বসতে পারবেন না। তবে ডিএলএড-সহ প্রাথমিক শিক্ষকের অন্য প্রশিক্ষণ যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা টেট দিতে পারবেন। তা ছাড়া, গতবছরের টেটে যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছিলেন, তাঁরাও নতুন করে এ বছর ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। পর্ষদ সভাপতি আরও জানান, গতবারের মতো এবারও ওএমআর শিটের কার্বন কপি বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।
এনসিটিই’র গাইডলাইন অনুসারে, প্রত্যেক বছর একবার করে প্রাথমিকের টেট নিতে হবে। শেষবার ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে টেট পরীক্ষা হয়েছিল। তাতে কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। প্রায় দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী সেই টেটে উত্তীর্ণও হয়েছেন। তবে, সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াও পড়েছে আইনি জটিলতায়। ২০২২ টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও এগোয়নি। এরই মধ্যে ফের টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছে পর্ষদ। পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে আগেরবারের ‘সফল মডেল’কে এবারও কাজে লাগাতে চাইছে পর্ষদ। আবেদনের শেষ তারি’ ৫ অক্টোবর। পেমেন্ট সমস্যা হলেও বাড়তি সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। এ বছর ওএমআর শিটের আসল কপি পর্ষদ নিয়ে নেবে ও পরীক্ষার্থী কপি তাঁরা বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, ২০২১-২৩ সালের ডিএলএড পরীক্ষার প্রথম পর্ব সম্পন্ন হয়েছে, সে-কথাও এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে জানান পর্ষদ সভাপতি। ১৫০টি কেন্দ্রে প্রায় ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। এই পরীক্ষার যাবতীয় প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা হয়েছে। ড. গৌতম পাল আরও বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন যাতে দ্রুত নিয়োগ হোক। ইতিমধ্যেই আমরা ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়াও শেষ করেছি প্রার্থীদের কিছু সমস্যা থাকায় নিয়োগ আটকে আছে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে আমরা ছাড়পত্র পেয়েছি। আশা করছি, সুপ্রিম কোর্ট থেকেও দ্রুত ছাড়পত্র পেয়ে যাব। তারপরই আমরা নিয়োগ করতে পারব। সরকার চাইছে আরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগ হোক। এই পর্বের নিয়োগ শেষ হলেই পরের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিতে পারব। প্রতি বছর দু’বার নিয়োগ করতে পারলে আগামী দিনে সমস্যা হবে না। ২০২১-২৩ সালের ডিএলএড পরীক্ষার প্রথম পর্ব সম্পন্ন হয়েছে, সে-কথাও এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে জানান পর্ষদ সভাপতি। ১৫০টি কেন্দ্রে প্রায় ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। এই পরীক্ষার যাবতীয় প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা হয়েছে।