আসিফ রেজা আনসারী: বাংলার পরিবহণ ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব যান চলাচলের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বৈদ্যুতিন বাস ও গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই তিনশোর কাছাকাছি বাস নামবে রাস্তায়। তবে শুধু সড়ক পথেই নয়, এবার জলপথ পরিবহণব্যবস্থাকেও উন্নত করার উদ্যোগ নিল রাজ্য। আর তার জন্য নেওয়া হয়েছে একটি বিশেষ প্রকল্প। যেখানে গঙ্গা নদীর দুই ধারের ঘাটগুলিকে সাজানো থেকে শুরু করে ফেরি সার্ভিসকে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মোট ১০২১ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য। তবে সরকারের তরফে খরচ হবে ৩০৬ কোটি টাকা। আর বিশ্ব ব্যাঙ্ক দিয়েছে ৭১৫ কোটি টাকা। ২০১৭ সালেই এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্ককে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন আগে অনুমোদন পায় রাজ্য। ৫ বছরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে খবর।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে ত্রিবেণী থেকে গেঁওখালি ও কল্যাণী থেকে নূরপুর পর্যন্ত, গঙ্গার দুই ধারের নৌপথকে রাজ্য সরকার নতুন করে সাজাবে। তার জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন অন্তত ৫ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন নদীপথে। অন্যদিকে, ৬০০ টন পণ্য পারাপার হয় ওই দুই নদীপথে। তাই ফেরিঘাট থেকে নৌযান সব ক্ষেত্রেই বদল ঘটানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে সরকার।
পরিবহণ দফতরের তরফে বলা হয়েছে, যাত্রী সুরক্ষার জন্য ঘাটগুলিতে লাগানো হবে রেলিং, নৌকা বা ভেসেলে ওঠার আগে যে ব্যাম্পগুলিতে দাঁড়াতে হয়, সেগুলি যাতে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য উপযোগী হয়, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যাত্রীদের অপেক্ষা করার জায়গা থেকে বাথরুম, বদলে যাবে সবই। স্মার্ট টিকেট কাটার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে এই প্রকল্পে।
পরিবহণ দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ১৫টি জেটি তৈরি করা হবে নয়া প্রকল্পে। যে সব জেটি থেকে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন সেখানে তৈরি হচ্ছে টার্মিনাল। প্রাথমিকভাবে হাওড়া, পানিহাটি, চুঁচুড়া, নৈহাটি, মেটিয়াবুরুজে টার্মিনাল তৈরির কথা হচ্ছে। এছাড়া নিবেদিতা সেতু থেকে শুরু হবে কার্গো রুট, যেখানে পণ্যবাহী ট্রাকও যাতায়াত করতে পারবে।