পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য ৪,১০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়েছে। শনিবার থেকে শুরু হওয়া দু’দিনের এই সম্মেলনে ব্যয়ের সরকারি নথি তেমনটাই বলছে। রেকর্ড অনুসারে, ব্যয়গুলো প্রায় ১২টি ক্ষেত্রে হয়েছে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাস্তা, ফুটপাথ, রাস্তার সাইনবোর্ড এবং আলোর রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যয় করা হয়েছে বেশি।
জি-২০-এর ইতিহাসে ভারত প্রথমবার আয়োজক দেশ হিসেবে সভাপতিত্ব করল। আজ এই জি- ২০ বৈঠকের সমাপ্তি ঘোষনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। এছাড়াও দেশগুলির উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গতকাল অর্থাৎ জি-২০ বৈঠকের প্রথম দিনে দিল্লি ঘোষণাপত্র সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এই ঘোষণাপত্রে যে প্রধান বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তা হল এখন যুদ্ধের সময় নয়, প্রতিটি দেশের মধ্যে দৃঢ়তা বন্ধন আনতে হবে। উল্লেখযোগ্য ভাবে চিন এবং রাশিয়া এই ঘোষণাপত্রকে সমর্থন জানিয়েছে। এছাড়াও আমেরিকায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে রেলপথ এবং নৌপথের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আফ্রিকান ইউনিয়নকে স্থায়ী সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর মধ্যে যে আস্থার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে তা মোকাবিলা করার জন্য সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়েছে এই বৈঠকে। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করার ফলে ভারত বিশ্ব দরবারে নিজেকে আরও মজবুত করলো বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশ্ব রাজনীতির দিক থেকে এই জি-২০ বৈঠক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।