পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ খাদ্য, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনসহ আফগানিস্তানকে ৩ কোটি ১০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চিন। বৃহস্পতিবার বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বুধবার পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কমিনিস্তানের সঙ্গে এক বৈঠকের পর চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আফগানিস্তানের জন্য এই সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। বেইজিং জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানকে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেবে। চিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত এই দেশগুলোকে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন আফগানিস্তানকে সহায়তার জন্য। চিন তালিবান সরকারের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে প্রস্তুত, বেইজিং থেকে এমন ঘোষণা আসার পর এই অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি এল। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা আফগানিস্তানে ‘শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ ছিল বলেও চিন মন্তব্য করে। কাবুল দখলের পর গত সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালিবান। ইসলামিক শরিয়ত আইন অনুযায়ী দেশ চালানোর ঘোষণা করে তারা।
অন্যদিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে বেইজিং। চিন সরকারের অবস্থান তুলে ধরে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান দখলের প্রথম দিন থেকে সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত আফগান জনগণের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে।’
এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠন এবং বিনিয়োগে চিনকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেছে তালিবান।তালিবানের বড় ‘ভরসা’ চিন। তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন সম্প্রতি বলেন, ‘আফগানিস্তানকে নতুন করে গড়ে তুলতে বড় ভূমিকা নেবে বেজিং।’
গোটা কাবুল-সহ আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে তালিবান। প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ফের তালিবানের অত্যাচার শুরু হতে পারে ভেবে আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এই অবস্থায় চিনের বক্তব্য, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যে তালিবান শাসন আমরা দেখেছি, তার থেকে ওরা এখন অনেক বেশি ‘স্পষ্ট এবং বাস্তবিক ভাবে’ ভাবছে।