পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এক দেশ, এক ভোট। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আপাতত এই নীতিকেই বলবৎ করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সূত্রের খবর, সেখানেই ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতির বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র। মঙ্গলবার এক দেশ-এক ভোট নিয়ে সুর গরম করলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাকে আঞ্চলিক দলগুলিকে পিষে এক দলীয় শাসনের প্রয়াস বলে আক্রমণ শানান তিনি। ‘ওয়ান-নেশন-ওয়ান-ভোট’ কেন্দ্রকে নিরবচ্ছিন্ন ক্ষমতা প্রদানের এক ‘অসাধু চেষ্টা’ বলেও তোপ দাগেন পিনরাই। জানান, এই নীতি সংসদীয় গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক মূল্যবোধের জন্য মারাত্মক হুমকি। যে সকল রাজ্য স্তরের নেতা-মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কথায় মাথা নত করেন না তাদের খড়গহস্ত করতে ‘সুপরিকল্পিত’ এক ছক মাত্র। সংঘ-পরিবারের জঘন্য ‘গেম-প্ল্যান’। প্রত্যকের উচিৎ এই বিষয়ে সরব হওয়া।
বর্তমানে দেশের সাধারণ ভোট এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়ে থাকে। ক্ষমতাসীন সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে ফের নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি কার্যকর হলে এই হিসেব বদলে যাবে।
ভোটপণ্ডিতদের একাংশের মতে, এই নীতি লাগু হলে প্রান্তিক মানুষদের দাবি দাওয়া গুরুত্ব পাবে না। জাতীয় ইস্যু গুলি আলোচনার মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ালেও মুখ থুবড়ে পড়বে গ্রামে-গঞ্জের সাধারণ মানুষ ও তাঁদের চাওয়া-পাওয়া।
প্রধানমন্ত্রী বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে বিবিধ কৌশলে গালমন্দ করলেও সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে তিনি ও তাঁর দল এই জোটকে মোটেই উপেক্ষা করতে পারছেন না । বরং একটু অতলে উঁকি মারলে বোঝা যাবে যাবে ‘জোট দানা’ বাঁধার আগেই মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। যা ভয়, সংশয় এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবকেই ইঙ্গিত করে।