পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কলকাতায় মিষ্টি নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে ৪টি মিষ্টি হাব তৈরির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘১০ কোটি মানুষ মিষ্টি খায়৷ এমন কেউ নেই যে মিষ্টি খান না। তাই তাঁদের কথা ভেবেই, কলকাতায় ৪টি মিষ্টি হাব তৈরি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘কলকাতায় অনেকে বসে চাকরি, চাকরি বলে চিৎকার করে দাবি করে। সবাই নয় অনেকে। তাঁদের সঙ্গে গ্রামের মাটির যোগাযোগ নেই৷ তাঁরা জানেন না চাকরি হয় মাটি থেকে৷ প্রায় দেড় কোটি মানুষ চাকরি করতে পারবে তাতে। এখন তো ইউটিউবে নানা জিনিস চলে। এবার আপনারাও ইউটিউবে প্রচার করুন।’
তাঁর কথায়, ‘আমি বীরভূমের মেয়ে বলে রামপুরহাটের মিষ্টি নিয়ে আসে অনেকে৷ ওদের আবার ভরাট মিষ্টি৷ খেতে ভাললাগে। কালোজাম ও ছানাপোড়া খেতে ভাললাগে। বোঁদে, গুজিয়া এগুলো বেশি বানান৷ মিষ্টি তৈরির লোক অনেক কমে গেছে। আগে ওদের অনেক কর্মচারী ছিল, এখন কমে গেছে। মিষ্টি হালকা করতে হবে। প্রয়োজনে আমাকে দেখিয়ে নেবেন৷ অনেকে আমাকে কুৎসা করে সারাদিন৷ আমি বলব ছোট ছোট কাজ ভীষণ কাজে লাগে৷ মিষ্টির নামই হল মিষ্টি।’
এই দিনের অনুষ্ঠান তিনি বলেন, ‘কলকাতায় ফুড কোর্ট, স্টল, প্যাকেজিং এমএসএমই করে দেবে। মিষ্টি হাবের বিপরীতে ২০ একর জমি দেব। এক টাকায় দেব৷ এটা ক্যাবিনেটে নিয়ে আসা হবে। নামকরণ হবে নবান্নের সঙ্গে মিলিয়ে মিষ্টান্ন। আমি একা নই। আপনাদের নিয়েই আমি, আমরা। সব জেলা থেকে মিষ্টি নিয়ে আসতে হবে যাদের অর্থনৈতিকভাবে অসুবিধা আছে, তাঁরা আবেদন করবেন। ইউনেস্কো বাংলাকে পর্যটন ক্ষেত্র বলছে। দার্জিলিং আর কালিম্পংয়ে মিষ্টির দোকান বাড়ান। জন্মদিনে কেক কাটে সবাই। এবার থেকে আপনারা পায়েস কেক বানান। আরও বেশি করে ব্যবসা বাড়ান৷ আমি চাই বাংলার সব মিষ্টি জিআই পাক।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানসিকভাবে মিষ্টির মতো কথা, ভাষা, চেহারা যেন হয় আমরা সবাই চাই। মিষ্টির ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেছি। রসগোল্লা, সন্দেশ, রাবড়ি, কালোজাম, জলভরা অনেক মিষ্টির কথা জানি। মালদহে গিয়ে আমি মিষ্টি হাবের কথা বলেছিলাম। আমরা একাধিক মিষ্টিতে জিআই মার্ক পেয়েছি। বসিরহাটে একটি মিষ্টি হাব করছি। চন্দননগরের জলভরাকে প্রমোট করতে মিষ্টি হাব হবে। এছাড়া কলকাতায় একটা হাব হচ্ছে। মৌলালি ট্রাম ডিপোর কাছে, সিটিসি বিল্ডিংয়ের এক তলা জুড়ে হবে৷ এইসব হাবে মিষ্টি প্রমোট করা হবে৷’