পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে ইসরাইল ও হামাস বন্দি বিনিময়ের পথে হাঁটতে চলেছে। মিশরের প্রচেষ্টায় এই দুই পক্ষ বন্দিদের বিনিময়ে রাজি হয়েছে। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ফিলিস্তিনের কয়েকশো নাগরিককে বন্দি করেছে ইসরাইল। অবশেষে মিশরের প্রচেষ্টায় কিছুদিনের মধ্যেই দুই পক্ষের বন্দি বিনিময় চুক্তি হতে পারে বলে আন্তর্জাতিক খবরে জানা গেছে। এ ছাড়াও হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া শনিবার বলেছেন, ইসরাইলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হামাসের কাছে ২০১৪ সালের যুদ্ধে নিহত ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য ওরন শোল এবং হাদার গোলদিনের লাশের দেহাবশেষ রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৪ ও ২০১৫ সালে স্বেচ্ছায় গাজা উপত্যকায় যাওয়া ইসরাইলি নাগরিক আভেরা মেনজিসটু ও হাইসাম আল সাইয়েদও হামাসের কাছে বন্দি আছেন।
সূত্রের খবর, বন্দি বিনিময় করতেই ইসলামপন্থী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস শাসিত গাজা উপত্যকায় ইসরাইল বিধিনিষেধ শিথিল করছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি টেকসই করতে মিশরের মধ্যস্থতায় বন্দি বিনিময় করতে চলেছে হামাস ও ইসরাইল। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে এই দুই পক্ষ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। টানা ১২ দিন যুদ্ধের পর মিশরের মধ্যস্থতায় তারা যুদ্ধবিরতিতে সই করে। গত কয়েকদিন ফিলিস্তিন এবং মিশরের স্থানীয় খবরে বলা হচ্ছে, বন্দি বিনিময় করতে হামাস ইসরাইল অনেকটাই এগিয়েছে। হামাস-ইসরাইলের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন করতে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ সিসি নিজেই বিষয়টির খোঁজখবর রাখছেন। ইসরাইলের কারাগারে ফিলিস্তিনের যেমন শত শত নাগরিক বন্দি রয়েছে, তেমনই হামাসের কাছে রয়েছে ইসরাইলি বন্দি।